কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টি কাগজে কলমে থাকলেও সাংগঠনিক ভাবে নেই কোনো কার্যক্রম। করোনাকালেও কোনো নেতাকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া কমিটি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে তৃণমূলে। আবার কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে ঝিমিয়ে পড়েছেন অনেকে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দুইটি তালিকা দেয়া হয়। এতে একটি তালিকায় নাফিজ আহম্মেদ খান টিটোকে সভাপতি ও শাহারিয়ার জামিল জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু সভাপতি হিসেবে কাজী আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কেএম জাহিদের কমিটি অনুমোদন না হওয়ায় বিভেদ দেখা দেয়। ফলে কেউ কেউ পদত্যাগও করেন। তবে কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে করেন শীর্ষ নেতারা।
পদত্যাগ নিয়ে কুষ্টিয়া শহর কমিটির সাবেক সভাপতি বর্তমান জেলা কমিটির সদস্য একেএম আশরাফুল ইসলাম মতিন, কেএম জাহিদসহ একাধিক কর্মী বলেন, সম্মেলনের পর স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নবগঠিত কমিটির সংবাদ দেখে আমরা জানতে পারি নাফিজ আহমেদ খান টিটোকে সভাপতি ও শাহারিয়ার জামিল জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করায় আমরা শহর কমিটি থেকে পদত্যাগ করি।
তিনি আরো বলেন, নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে আমার নামও রয়েছে। কিন্তু পছন্দের কমিটি অনুমোদন না দেয়ায় অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
কেএম জাহিদ বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা পছন্দের লোক দিয়ে কমিটি করেছেন। আমরা চাই মাঠপর্যায়ের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি হোক। তাই বর্তমান কমিটির নেতাদের সঙ্গে আমরা নেই।
তবে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার জামিল জুয়েল বলেন, দলের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। সব ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি হয়েছে।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাফিজ আহম্মেদ খান টিটো বলেন, সর্বশেষ সম্মেলনে একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। তবে ওই সম্মেলনে আরেকটি কমিটি জমা দেয়া হয়েছিল। তাদের কমিটি অনুমোদন না হওয়ায় একেএম আশরাফুল ইসলাম মতিন ও কেএম জাহিদ সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রমে আসেন না। তাদের অনেকবার ডাকা হয়েছে। এছাড়া দলে কোনো বিভেদ নেই। দল ঐক্যবদ্ধ আছে।