কুষ্টিয়ায় নারী পাচারকারী চক্র! ছাত্রীবাসে থাকা ছাত্রীদের প্রলুব্ধ করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রলোভন
কুষ্টিয়ায় নারী পাচারকারী একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। যারা স্থানীয় না হলেও কুষ্টিয়ার স্থানীয় মেয়ে এবং ছাত্রীবাসে থাকা ছাত্রীদের প্রলুব্ধ করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রলোভন দেখাচ্ছে। একটি সংগঠনের নাম ব্যবহার করেছে এই চক্রটি। যে নামের কোন সংগঠনের অস্তিত্ব বাংলাদেশে পাওয়া যায় না।
এই চক্রটির মূল হোতা মিরপুরের জনৈক এক তামাক ব্যবসায়ী। কনক নামের ওই তামাক ব্যবসায়ী এবং কুষ্টিয়ার একটি প্রাইভেট ম্যাটস থেকে পাশ করে বের হয়ে আসা সোহাগ হোসেন এবং জুয়েল রানা নামের তিনজন এই চক্রের সক্রিয় সদস্য। এদের ২ জন কুষ্টিয়া সনো প্রাইভেট হাসপাতালে ডাঃ শহিদুল ইসলামের চিকিৎসক সহকারী বলে জানা গেছে।
অভিযোগকারীনীদের সূত্রে জানা যায়, ডাঃ শহিদুল ইসলামের চিকিৎসক সহকারী জুয়েল রানা মিলপাড়া ল অদাক্ষরের একটি মেয়েকে একটি সংগঠনের নাম করে সেই সংগঠনের ব্যানারে ঢাকায় গিয়ে থাকার কথা বলেন। এ দিকে জুয়েল রানার বন্ধুু সোহাগ হোসেন একটি ছাত্রীবাসে থাকা স অদাক্ষরের একটি মেয়েকে ওই সংগঠনে ব্যানারে ঢাকায় যাওয়ার জন্য জোর দিতে থাকে। মেয়েটি রাজী না হলে তাকে বলে তার জন্য তাদের ৪ লাখ টাকা লোকসান হবে। এই ধরণের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা বিভিন্ন মেয়েকে সংগঠনের নামে প্রস্তাব করছে। যে সংগঠনের নামটি ব্যবহার করছে তার কোন অস্তিত্ব নেই। সূত্র দাবী করছে সংগঠনের নামে মেয়েগুলিকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করার জন্য তাদের এই ষড়যন্ত্র।
কনক সম্পর্কে জানা যায়, কনকের বাড়ি মিরপুরে। সে কখনও মেডিকেল স্কুলের ছাত্র ছিলো না। কিন্তু তার টার্গেট হিসেবে তিনি কুষ্টিয়ার মেডিকেল স্কুলের ছাত্রীদের বেছে নিয়েছে। আর তার সহযোগি হিসেবে কাজ করছে ডাঃ শহিদুল ইসলামের দুই মেডিকেল এসিটেন্ট।
এব্যাপারে সোহাগ হোসেনের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে পরিচয় পাওয়ার পর কেটে দেয়। কিছুপর আরেকটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলে এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অসুবিধা আছে।
এদিকে ডাঃ শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন জুয়েল রানা তার এসিটেন্ট। তিনি সোহাগ হোসেন নামের কোন ব্যক্তিকে চেনেন না।
সনো প্রাইভেট হাসপাতালের ম্যনেজার মির্জা শাহ আলম বলেন, ওই নামে তাদের কোন স্টাফ নেয়। ডাঃ শহিদুল ইসলামের ব্যক্তিগত কোন সহকারী থাকতে পারে। তার সাথে সনো হাসপাতালের কোন সম্পর্ক নেই।
সচেতন মহল মনে করেন এদের মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষ করলে এবং এদের সাথে কাদের যোগাযোগ তা যাচাই করলে একটি বড় নারী পাচারকারী চক্রকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হবে।