কুষ্টিয়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। তবে জনসম্মুখে সাবেক স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সাবেক স্বামী তাকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে যাওয়ায় আবার হত্যার চেষ্টা চালাতে পারে বলে চরম আতংকে রয়েছে হামলার শিকার ওই ছাত্রী ও তার পরিবার।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলার শিকার ওই ছাত্রীর নাম ফাতেমা খাতুন তুলি (২০)। সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের জিয়ারখী গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।
জানাযায়, জিয়ারখী গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে ফাতেমা খাতুন তুলির সাথে ২০১৭ সালের ২ জুন মাসে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কুষ্টিয়া হরিশংকরপুরের মেজবারের ছেলে জনী (২৫) এর সাথে। বিয়ের সময় মেয়ের পরিবার থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ প্রায় লাখ টাকার মালামাল দেয়া হয় জনীকে। কিছু দিন যেতে না যেতে জনী নেশাগ্রস্ত হয়ে তুলির উপর নির্যাতন চালাতে থাকে। এ বিষয় নিয়ে দুই পরিবারেত মাঝে দ্বন্দের সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে কয়েক মাস আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
এরই মাঝে তুলি কুষ্টিয়া এস এস সি পাশ করে কুষ্টিয়া ইসলিয়া কলেজে ভর্তি হয়। সে এখন ওই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তুলি আজ দুপুর ১২ টার সময় কলেজে ডেঙ্গু প্রতিরোধ অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার সময় তার সাবেক স্বামী জনীসহ ৪/৫ জন গতিরোধ করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জনী ও তার সহযোগীরা তুলিকে টেনে হিছড়ে রেল লাইনের উপরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় মিতুর আত্মচিৎকারে একই কলেজের ছাত্র সুরুজ তাকে বাচাতে এগিয়ে এলে ওই সন্ত্রাসীরা সুরুজকেও মারধোর করে । তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তুলির সাবেক স্বামী জনী ও তার সহযীগীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার পূর্বে তুলি কে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তুলি বাড়িতে পৌছায়। এ ঘটনায় ফাতেমা খাতুন তুলি কুষ্টিয়া মডেল থায়ায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।