কুষ্টিয়ায় কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামের সালমার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পুনঃ ময়না তদন্তের জন্য দুই মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পান্টি ইউনিয়নের ওয়াশি বাগবাড়িয়া ঈদগাহ ও গোরস্থান থেকে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিবুল ইসলাম খানের উপস্থিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, পান্টি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হাবিলের পুত্র মো. শাকিল হোসেন একই ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের সবদার হোসেন জোয়ার্দ্দারের কলেজ পড়ুয়া কন্যা সালমাকে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে ডেকে এনে গণ ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয় বলে পরিবার ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসী এবং সালমার পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাকিলের সাথে সালমার দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শাকিলকে সালমা বিয়ের প্রস্তাব দিলে নানা তালবাহানা করে। অন্য সম্মন্ধ আসলেও তাতে বাধা দিত।
ইবি থানাধীন আব্দুলপুর গ্রামের খয়বার মন্ডলের ছেলে মো. রিপনের সাথে সালমার বিয়ে দিলে শাকিল সালমার সংসার করতে দেয়নি বলে জানা যায়। সালমাকে বিয়ের প্রলোভনে শাকিল সালমার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রেমিক শাকিলের বসত ঘরে আড়ার সাথে ওড়নায় প্যাঁচানো অবস্থায় সালমার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সালমার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অপমৃত্যু, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনসহ ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে সালমার অপমৃত্যুর মামলার সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা বাশগ্রাম ক্যাম্পের ইনচার্জ লিপন সরকারে বিরুদ্ধেও অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভ রয়েছে সালমার স্বজনদের।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর সালমার ভাই মো. ফিরোজ হোসেন তার বোনকে ধর্ষণ পূর্বক হত্যার অভিযোগে তার বোনের মৃতদেহ উত্তোলন করে পুনরায় ময়না তদন্তের আবেদন করেন। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সালমা খাতুনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন পূর্বক পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কুমারখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হক নির্দেশ প্রদান করেন।