“মাদক নয় সমাজ সেবায় হোক তারুণ্যের আসক্তি” এই শ্লোগানে কুষ্টিয়া দিশা টাওয়ারে বিকেলে তারুণ্যে ৭১ সংগঠনের আয়োজনে এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন ব্যারিষ্টার গৌরব চাকী।
প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রবিউল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজু, যুব ও ক্রীড়া বিষয় সম্পাদক ইকবাল হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ গ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, তোমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রাজনীতি করছি, তোমাদের ভবিষ্যত উউজ্জ্বল করতে সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আজকে দেখো বাংলাদেশে ২০০৮সালে যে নির্বাচন হলো, সেই নির্বাচনের আগে হোটেল সেরাটন নামে একটি হোটেলে নির্বাচন স্তরের ঘোষণা হয়, সেই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষণা দিলেন আমরা যদি দেশ পরিচালনা করার দায়িত্ব পায় তাহলে বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। এরপর মানুষ সমালোচনা করতে শুরু করে ডিজিটাল বাংলাদেশ কি! আজ দেশের পরিবর্তন হওয়ায় মানুষ অবশ্যই বুঝতে পেরেছে আসলে ডিজিটাল বাংলাদেশ কি। দেশ পরিচালনার জন্য সঠিক মানুষের প্রয়োজন হয়, আমাদের সকলকে মানতে হবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের তরুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে। আজ বঙ্গ কণ্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এক সময় মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে দু তিন দিন, এমনকি মাসের পর মাস পার হয়ে যেতো অথচ যোগাযোগ করা সম্ভব হতো না, আজ মুহুর্তেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ায় মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন এসেছে, মুহূর্তেই দেশ বিদেশে সংবাদ পৌঁছে যাচ্ছে, যোগাযোগ করতে সুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে শিক্ষার মান উন্নয়ন হয়েছে। এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ, যেটা বলেন উন্নত রাষ্ট্র তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভর দেশ। বাইরের দেশ গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বাংলাদেশ ডিজিটাল হিসেবে গড়তে এই অঙ্গিকার করেছি। আজকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্য প্রযুক্তির ছোয়া লেগেছে। সেই ছোয়া সকলে পাচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
তারুণ্য ৭১ অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থীদের বলেন প্রযুক্তির ব্যবহার সঠিক ভাবে করতে হবে। লেখাপড়ার ক্ষতি করে ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত থাকা যাবে না, অবসর সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার অঙ্গিকার করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ক্রেষ্ট বিতরণ করেন।