কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ঢাকা ফেরত ২জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
গতকাল শনিবার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় নিজ বাড়িতে ফেরেন। আজ রোববার সকালে দুজনই করোনা পরীক্ষা করাতে দেন। রাতেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ফোন করে তাদেরকে জানানো হয় স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই করোনা ‘পজিটিভ’।
তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রেফায়েতপুর ইউনিয়নের কাঘাটি গ্রামে।
খবর পেয়ে রাতেই উপজেলা প্রশাসন তাদের বাড়িটি লকডাউন (অবরুদ্ধ) করেছে। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম রোববার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
করোনা নিয়ন্ত্রণ সেল থেকে পাওয়া তথ্যে আরও জানা যায়, আজ সারা দিনে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার ৪১টি ও মেহেরপুরের ৮টি। মেহেরপুরের সব কয়টি ‘নেগেটিভ’ এসেছে। কুষ্টিয়ার দুজনের ‘পজিটিভ’ পাওয়া গেছে। ওই দুজন স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত পুরুষ ব্যক্তি ঢাকায় একটি ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ানের চাকরি করেন। তবে সেটা সরকারি কি না, জানা যায়নি। শনিবার তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে পদ্মা পার হয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে আরেকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তিনি বাড়ি যান।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, খবর পেয়ে রোববার রাতেই তাদের বাড়িটি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত-স্বামী স্ত্রী দুজনই সুস্থ রয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এ নিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জনে দাঁড়ালো। এর মধ্যে ঢাকাফেরত দৌলতপুর উপজেলার চার বছর সাত মাস বয়সী মেয়েসহ আক্রান্ত দম্পতি ছাড়াও মোট ৮ জন চিকিৎসা শেষে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।