কুষ্টিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে মেডিকেলের চিকিৎসক ডা. শহিদুল ইসলামের পাঁচতলা ভবনের দুইটি ফ্লোরের সবকিছু ভস্মিত হয়েছে।
শনিবার ভোরে শহরের হাউজিং ডি-ব্লক ১১/১নং আবাসিক ভবনে এই অগ্নিকাণ্ডর ঘটনা ঘটে।
এ ভবনের বৈদ্যুতিক চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় উল্লেখ করে অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্তকারী কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের লোকজন পৌছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভবনের ‘বৈদ্যুতিক ওয়ারিং ব্যবস্থা মান সম্পন্ন নয়’ দাবি করে তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ভবনের তৃতীয়ও চতুর্থ তলার ‘সবকিছু’ পুড়ে ভস্মিত হয়ে গেছে বলে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, শনিবার ভোরে মসজিদে নামাজ শেষে বেরিয়ে দেখি কালো ধোঁয়া। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানালার কাঁচ ভাঙার শব্দ এবং দাউদাউ করে আগুনের ফুলকি বেরোতে থাকে।
এ সময় “ওই ভবনের মধ্যে যারা ছিল তারা হাউমাউ কান্নাকাটিসহ চিৎকার করতে থাকে।”
পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন বলে জানান তিনি।
বৈদ্যুতিক চুলা থেকে এই অগ্নুৎপাতের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
ওই ভবনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে কোন অগ্নিনির্বাপন সামগ্রী ছিল না অভিযোগ তুলে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, “ভবনের বৈদ্যুতিক ওয়ারিং ব্যবস্থাও দুর্বল ছিল।”
তবে অগ্নিকাণ্ডের সাথে সাথেই শহীদুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা ভবনের বাইরে চলে যাওয়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
এই ভবনটি ছাড়াও কুষ্টিয়ায় সাম্প্রতিক নির্মিত বহুতল ভবনগুলোয় নিরাপদ ব্যবস্থা না থাকার করেছেন কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “অগ্নিকাণ্ডর প্রাথমিক মোকাবিলায় এসব ভবনের নিজস্ব কোন সরঞ্জামাদি নেই। এছাড়া ১০-১২তলা ভবনে বড় কোন অগ্নিকাণ্ড ঘটলে ফায়ার সার্ভিসেরও সেগুলো মোকাবেলায়ও সরঞ্জামাদি অপ্রতুল।”
এ প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পিত অবকাঠামো বা ভবন নির্মাণ দেখভালে সরকারের কয়েকটি বিভাগের দায়িত্ব রয়েছে। শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট বিভাগ দায়ত্বশীল হলেই পরিকল্পিত ও নিরাপদ ভবন নির্মাণ সম্ভব নয়।
“সরকারের সংশ্লিষ্ট সবগুলি দপ্তরের সমন্বিত দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়েই কেবল নিরাপদ ভবন বা অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব।”