কুষ্টিয়া জেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে বেসামরিক প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল ১০টায় সেনাবাহিনীর যশোর সেনানিবাস ২০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট’র সেনা সদস্যরা কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন এবং বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করেন। একই সাথে বেসামরিক প্রশাসন’র সাথে সমন্বয় করে এই তালিকার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
করোনা মহামারির মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান সুপার ঘূর্ণিঝড়ের রূপে ধেয়ে আসে দেশের উপকূলে। বুধবার ভোর রাতে এটি তান্ডব চালায় কুষ্টিয়া জেলায়।
কুষ্টিয়ায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে ২০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যশোর সেনানিবাসের সেনা সদস্যরা।
সেনা সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ঝড়ে ভেঙে যাওয়া গাছপালা সরিয়ে মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কসমূহ চলাচলের উপযোগী করেন। ঝড়ে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছপালার কারণে তৈরি হওয়া দীর্ঘ যানজট নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা পালনসহ ঝড়ের কবলে গৃহহীন ব্যক্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এর অনুসন্ধান, তালিকা প্রস্তুত এবং জরুরী সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ২০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যশোর সেনানিবাসের সেনা সদস্যরা কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের যেসকল কৃষক করোনা কারণে সবজি বিক্রি করতে পারছেন না সে সকল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষেত থেকে ন্যায্য মূল্যে সবজি ক্রয় করে সেনানিবাসের সেনা সদস্যদের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে সেই সবজি ও নিজেদের প্রাপ্ত রেশন কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিদিন ১৫০ দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করে আসছে।