কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান গড়াই খনন প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় বৃক্ষ রোপন উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পদ্মা-গড়াই মোহনায় প্রায় তিন শতাধিক নানা প্রজাতির বৃক্ষ রোপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান নির্বাহী প্রকৌশলী পিযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু, গড়াই খনন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী তাজবির হোসেনসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গ্রেট ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনসহ এই জনপদের জীব বৈচিত্র রক্ষা ও প্রাকৃতিক সত্ত্বার অন্যতম আঁধার পদ্মার শাখা নদী গড়াইয়ের প্রাণ ফেরাতে যে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছেন; তারই অংশ হিসেবে চলমান খনন প্রকল্পে যেভাবে গড়াই ফিরে পাচ্ছে তার হারানো প্রান সেই সাথে প্রাকৃতিক প্রাণস্পন্দন ফেরাতে হাতে নেয়া হয়েছে ভূমি উন্নয়নসহ বনায়নের কর্মসূচী। আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত চলমান এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গড়াইয়ের দুইধার সংরক্ষনের মাধ্যমে বিলীন হয়ে যাওয়া ভূমি উদ্ধারের পাশাপাশি বহুমুখী সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, তালবাড়িয়ার ভাঙ্গন এবং গড়াই নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন কবলিত ঝুঁকি নিরসনে ইতোমধ্যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান। এছাড়া বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে উদ্ধারকৃত জমিতে ড্রেজিং ষ্টেশন, রেষ্ট হাউস, ইকোপার্ক গড়ে তোলাসহ সরকারী বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাইও সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী পিযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু জানান, ২০১৯-২০অর্থ বছরে প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকা প্রাক্কলন ব্যয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মহানগর ট্যাকে গড়াই ও পদ্মা নদীর মিলনস্থলের ডান তীরে ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল বা খননকৃত মাটি/বালি সংরক্ষনের জন্য ৩শ মিটার স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সেখানে উদ্ধারকৃত ভূমি উন্নয়নের অংশ হিসেবে বনায়ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। এখানে পর্যায়ক্রমে ফলজ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করে বনায়ন গড়ে তোলা হবে।