কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকায় গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালিয়েছে একই এলাকার বখাটে বিদ্যুৎ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে বিদ্যুৎ।
এলাকাবাসী ও কিশোরীর পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোরীর ঘরে ঢুকে ববুধবার রাত এগারোটার দিকে বাড়ির পাশের দুঃসম্পর্কের মামা বিদ্যুৎ তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অপহরন ও শ্লীলতাহানি ঘটানোর চেষ্টা করে। এসময় কিশোরীর চিৎকার-চেঁচামেচিতে অন্য ঘরে থাকা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দ্রুত ছুটে আসলে বিদ্যুৎ ও তার বন্ধু পালিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী কিশোরীর মামী বলেন,আমার ননদের মেয়ে আমার এখানে থেকে লেখাপড়া করে, ওর বাবা মারা গিয়েছে ওর মা জীবিকার তাগিদে বিদেশে থাকে। ঘটনার সময় গত বুধবার রাত এগারোটার দিকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘরের বাইরে আমি আসি, তখন দেখতে পাই, পার্শ্ববর্তী আবুলের ছেলে বিদ্যুৎ ও তার এক বন্ধু, তাকে চিনতে পারিনি তার মুখ গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল, ছুরি নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর ছাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে বিদ্যুৎ ও তার বন্ধু তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে এসেছিল, আমি বাধা দিতে চাইলে ছুরি দিয়ে ভয় দেখায় এবং এ সময় আমার শ্লীলতাহানী ঘটানোর চেষ্টা করে।
এদিকে এ ঘটনায বিদ্যুৎ ও তার বন্ধুকে বাঁচাতে স্থানীয় একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে, তারা যে কোন মূল্যে বিদ্যুৎ কে বাঁচাতে চাই,এর জন্য বিদ্যুৎ এর পরিবারের সাথে নানা দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে মহলটি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এর পিতা আবুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ছেলে একটি ভুল করেছে করে ফেলেছে, আমরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মীমাংসা করে ফেলেছি। কিভাবে মীমাংসা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলেকে শাসন করেছি। মীমাংসা করতে টাকা-পয়সা লেগেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সব ব্যাপারে কিছুতো খরচ হয়ই।
এলাকাবাসী জানায়, এই বিদ্যুৎ এলাকায় বেপরোয়া বিদ্যুৎ নামে পরিচিত। বিদ্যুৎ ও তার বন্ধুর কঠোর বিচার হওয়া দরকার, যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপকর্ম করার সাহস না পায়, অবিলম্বে তাদের কে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।