কুষ্টিয়ার ইবি থানার আব্দালপুর পান্থাপাড়া এলাকায় বর্বোরোচিত কাইজার প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বোমর আলামত সহ ৭ জনকে আটক করেছে ইবি থানা পুলিশ।
জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকালে আব্দালপুর পান্থাপাড়া এলাকায় ওয়াহেদ মেম্বার ও ইয়ামিন মেম্বার গং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাইজার জন্য অবস্থান করছিল। সেখানে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ রতন শেখের নেতৃত্বে পুলিশ হানা দেয় এবং কাইজার মূল দুই হোতা সহ ৭ জনকে আটক করে কাইজা থামিয়ে দেয়। ইতিপূর্বে এই এলাকায় এদের নেতৃত্বে বেশ কয়েকবার কাইজা হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। শুধু তাই না তারা কাইজার পর গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, লুটপাট ও ফসল কর্তন করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এই কাইজা লাগিয়ে কিছু গ্রাম্য মাতব্বর মজা লোটে। কাইজা করে মরে সাধারণ মানুষ আর তার থাকে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের টাকা ভাগাভাগি করতে ব্যস্ত। আজ একটুর জন্য রক্ষা পেল অনেক সাধারণ মানুষ। পুলিশ এসে না পরলে জান-মালের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেত।
ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ রতন শেখ জানান, আমরা কাইজার খবর প্রাপ্ত হয়ে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) স্যারের দিক নির্দেশনা মোতাবেক আব্দালপুর পান্থাপাড়া এলাকায় হানাদি। সেখানে গিয়ে দেখি দুই দিকে দুই দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চেঁচামেচি করছে। এই সময় আমরা সেখানে পৌঁছে সকলকে ছত্রভঙ্গ করে ৭ জনকে দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আটক করি।
আটককৃতরা হলেন আব্দালপুল পান্থাপাড়া এলাকার জোমারত আলীর ছেলে ইয়ামিন মেম্বার (৫৪), শমশের আলীর ছেলে ওহায়েদ মেম্বার (৬২), ইসহক আলীর ছেলে নজরুল (৬০), নায়েব আলী মন্ডলের ছেলে সাহেব আলী (২৫), জোমারত আলীর ছেলে শরিফুল (৪৭), চাদ আলী মন্ডলের ছেলে কোরবান মন্ডল(৫৫) ও হোসেন মন্ডলের ছেলে তাহাজ উদ্দিন (৫৫)। এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত আছি।