কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাদীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন ঐ স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক তুহিন আহমেদ জনি। ঐ ছাত্রীকে কোর্টে নিয়ে বাল্য বিবাহে আবদ্ধ হলেন ঐ শিক্ষক।খন্ডকালীন শিক্ষক জনি সাদীপুর ইউনিয়ের ঘোষপুর গ্রামের মোঃ আলীর পুত্র।
এ ঘটনায় সাদীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও এলাকাবাসিদের মধ্যে কানাঘুষা চলছে। বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এলাকা বাসীদের মধ্যে।
জানা যায়, নবম শ্রেনিতে পড়ুয়া অবস্থায় বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে খন্ডকালিন শিক্ষক জনির সাথে। বিদ্যালয়ের সুষ্ঠ পরিবেশ নষ্ট করে অসামাজিক কাজেও লিপ্ত হতেন তারা। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এভাবে চলতে চলতে এক পর্যায়ে ছাত্রীটি এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করলে গত বৃহস্পতিবার জনি তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অবশেষে কোর্ট ম্যারেজ করে। কিন্তু ছাত্রীর পরিবার এখনও বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি।
এবিষয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক জনি বলেন, নবম শ্রেনীর পড়ার সময় ওর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। ওর পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনে না নেওয়াই পালিয়ে বিয়ে করেছি আমরা। তবে মেয়ের পরিবার এখনও মেনে নেয়নি।বাল্য বিবাহ বিষয়ে জানতে চাইলে জনি বলেন,আমরা বয়স এভিডেবিট করেছি,ও আর পড়াশোনা করবেনা।
সাদীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুুদ্দোজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রেম করে বিয়ে করেছে ওরা। এই ঘটনায় জনিকে বিদ্যালয় থেকে বেড় করে দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন মানিক বলেন, বিষয়টা শুনেছি, মিটিং ডেকে ব্যবস্থা নিবো। তবে এলাকাবাসীর দাবী এ ঘটনার পিছনে প্রধান শিক্ষকের জড়িত থাকার প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।