কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরও তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩০ (বহিরাগত বাদে) জন আক্রান্ত হলো।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মে ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুষ্টিয়া জেলা সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে ৮৬ (কুষ্টিয়া ৭০ ও মেহেরপুর ১৬) জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার ৩টি স্যাম্পলের ফলাফল পজিটিভ হয়েছে এবং বাকী সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ।
কুষ্টিয়ার পজিটিভ ৩ জনের মধ্যে একজন ইতিপূর্বে পজিটিভ ছিলেন অর্থাৎ তার ফলোআপ টেস্টেও পজিটিভ এসেছে। বাকি দুইজন নতুন সনাক্ত রোগী যাদের একজন দৌলতপুরের মরিচার কোলদিয়ার গ্রামের বাসিন্দা ( ১৫ বছর) এবং অপরজন কুমারখালীর চাপড়ার ছেউড়িয়ার বাসিন্দা (৬৬বছর)। নতুন আক্রান্ত দুইজনই পুরুষ। এদের বাড়ি ও এলাকা ইতিমধ্যেই লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার মোট করোনা পজিটিভ ৩২ (বহিরাগত সহ) জনের (৩১ জনের টেস্ট কুষ্টিয়ায় করা হয়েছে এবং ১ জনের টেস্ট ঢাকায় করা হয়েছে), যার মধ্যে মোট ১৮ জন সুস্থ হয়ে গেছেন। বাকী ১৪ জনের মধ্যে ১ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য ১৩ জনের সবার বাসা লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে এবং আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত সবাই সুস্থ আছেন।
জানা যায়, আজ পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলার মোট ১৩৪৭ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে, এর মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১২৩৫ জনের। ১২০৪ জনের রেজাল্ট নেগেটিভ পাওয়া গেছে। বাকি ১১২টি স্যাম্পলের টেস্ট রেজাল্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়ে ছাড় পেয়েছেন ১৬ জন রোগী। বাকি আক্রান্তদের একজন ঢাকায় আর ১১জন নিজের বাড়িতে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সবাই ভালো আছেন।
জেলা স্বাস্থ্যবভিাগ জানায়, কুষ্টিয়ায় প্রথম করোনা শানক্ত হয় ২৩ র্মাচ। সেই থেকে অদ্যাবধি মোট ২৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুসা কবির করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজনে বাইরে বের হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে ওই তিন রোগীর বাড়ি ও আশপাশের এলাকা লকডাউনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। জেলাবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন মানুষকেই নিজেদের বাঁচবার তাগিদে নিয়ম মানতে হবে। তিনি বলেন এখনও সময় আছে সর্তক হবার। অনুগ্রহ করে সকলে সতর্ক থাকুন, ঘরে থাকুন৷
বহিরাগত বাদে জেলায় আদ্যাবধি কোভিড সনাক্ত ৩১ (বহিরাগত বাদে) জন।
উপজেলা ভিত্তিক রোগী-
দৌলতপুর-১২, ভেড়ামারা-২, মিরপুর-৬, সদর-৩, কুমারখালী-৬, খোকসা-১
(পুরুষ রোগী-২১, নারী রোগী-৯)
সুস্থ হয়ে ছাড় পেয়েছেন ১৮ জন।
উপজেলা ভিত্তিক সুস্থ- ১৬ জন
দৌলতপুর-৪, ভেড়ামারা-২, মিরপুর-৪, সদর-১, কুমারখালী-৫, বহিরাগত সুস্থ-২
বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ১৩ জন
ঢাকায় চিকিৎসাধীন ১ জন