কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার (১৬ মে) দুপুরে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার এ তথ্য জানান।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব থেকে কুষ্টিয়ার ৬০ টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে যার মধ্যে ৫৮ টি নেগেটিভ ও দুইটি পজেটিভ। নতুন সনাক্ত দুই জন রোগীর একজন দৌলতপুরের ফিলিপনগর এর বাসিন্দা ( ৩৬ বছর) এবং অপরজন কুষ্টিয়া সদরের জুগিয়ার বাসিন্দা (৩৩বছর)। আক্রান্ত দুইজনই পুরুষ।
করোনা স্যাম্পল টেস্টঃ আজ কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে মোট ৬৫টি স্যাম্পল এর টেস্ট করা হয়েছে যার মধ্যে ৬০টি কুষ্টিয়া জেলার এবং ৫টি মেহেরপুর জেলার। কুষ্টিয়া জেলার ২টি স্যাম্পলের ফলাফল পজিটিভ এবং বাকী সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আজ পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলার মোট ১১৪৬ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ
করা হয়েছে, এর মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১০৬৩ জনের। ১০৩৮ জনের রেজাল্ট নেগেটিভ পাওয়া গেছে। কুষ্টিয়ার মোট করোনা পজিটিভ ২৬ জনের (২৫ জনের টেস্ট কুষ্টিয়ায় করা হয়েছে), যার মধ্যে মোট ১৮ জন সুস্থ হয়ে গেছেন। বাকী ৮ জনের মধ্যে ১ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য ৭ জনের সবার বাসা লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে এবং আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত সবাই সুস্থ আছেন। বাকি ৮৩টি স্যাম্পলের টেস্ট রেজাল্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাঃ এ জেলায় করোনা প্রতিরোধে ছয়টি সরকারি হাসপাতালে ৬৫ জন ডাক্তার ও ৭৫ জন নার্স চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত আছেন যেখানে মোট বেড সংখ্যা ৩৯০টি। এর পাশাপাশি ৩টি বেড সম্পন্ন একটি বেসরকারি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেখানে ডাক্তার সংখ্যা ৩ জন ও নার্স রয়েছেন ৬ জন। কোভিড-১৯
আক্রান্ত ব্যক্তির জরুরী চিকিৎসায় স্থানান্তরের নিমিত্ত পৃথক ০২ (দুই) টি এম্বুলেন্স ও একটি গাড়ি এবং স্যাম্পল
কালেকশনের জন্য পৃথক দুইটি গাড়ি রাখা হয়েছে৷ এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে
সেবা সহায়তার জন্য ৪০টি এম্বুলেন্স অধিযাচন করে দেয়া হয়েছে। ডাক্তারগণের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য সরকারী বরাদ্দ হিসেবে মোট ২২০২৫ সেট পিপিই এবং ২২০২৫টি মাস্ক আসছে যার মধ্যে ১১০৪৯ সেট মজুদ আছে।
জেলা স্বাস্থ্যবভিাগ জানায়, কুষ্টিয়ায় প্রথম করোনা শানক্ত হয় ২৩ র্মাচ। সেই থেকে অদ্যাবধি মোট ২৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুসা কবির করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজনে বাইরে বের হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে ওই দুই রোগীর বাড়ি ও আশপাশের এলাকা লকডাউনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। জেলাবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন মানুষকেই নিজেদের বাঁচবার তাগিদে নিয়ম মানতে হবে। তিনি বলেন এখনও সময় আছে সর্তক হবার।