কুষ্টিয়ায় অবৈধ ভাবে যায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শুকরের খামার ও প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া শহরের প্রান কেন্দ্র কবি আজিজুর রহমান সড়কের মেসার্স সি,আর,পি ফ্লাওয়ার মিলর্স সংলগ্ন পূর্বে পুকুর ভরাট করে কুষ্টিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান কাচাবাজারের জন্য বরাদ্ধ করেন। সাবেক চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পরে সেই বাজার সচল হয়নি।
বর্তমানে সেই যায়গা সি,আর,পি ফ্লাওয়ার মিলর্স ট্রাক পার্কিং ও বাজারের দেকান ঘর গুলো ব্যবহার করছে গোডাউন হিসাবে ও হরীজন সম্প্রদায় শুকরের খামার এবং ময়লা ফেলার আদর্শ যায়গা বানিয়েছে। ১০নং ওয়ার্ডের এই যায়গা আবাসিক এলাকার সংজ্ঞা ভুলিয়ে দিয়েছেন, এই মিল ও হরীজন সম্প্রদায়। ৩/২ আর সি,সি রোডের প্রায় ৫০-৬০টি পরিবার দূগন্ধ, বিষাক্ত মশা, মাছি, পোঁকা, মাকরের সাথে দিন কাটাচ্ছেন। শিশুদের হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বায়ু জনিত রোগ।
সামসুল উলুম মাদ্রাসার প্রাচীরের পাশে শিশুদের সাথে সাথে বেড়ে উঠছে শুকরের ছানা বিষয়টি হস্যকর হলেও সত্য। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রতি বছর শত শত শিশু কুরআন শিক্ষা নিতে আসে আমাদের প্রতিষ্ঠানে কিন্তু দূগন্ধ, মাশার কারনে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ্য হয়ে পরে। এলাকাবাসী এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলেন, ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো:লাবলু ভাইকে জানিয়েছি। আমরা ৩ মাস আগে কুষ্টিয়া পৌরসভায় গনপিটিশন দিয়েছি কোনো প্রকার পদক্ষ্যেপ আমরা দেখতে পাইনি।
হরীজন সম্প্রদায়ের একজনের সাথে শুকর পোষার ব্যপারে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের কোন কর্ম সংস্থান নাই আমাদের এগুলো পুষতে হয় আমাদের কোনো যায়গা পৌরসভা বরাদ্ধ করে দিলে আমরা এখানে আর ময়লা করবো না। এদিকে সি,আর,পি ফ্লাওয়ার মিলের ক্রয়কৃত জমির চেয়ে প্রায় তিনগুন জমি দখল করে মিল বর্জ ফেলে, সরকারী খাস জমিতে গোডাউন বানিয়ে ক্ষতি করছে পরিবেশের।
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের সপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার (সোনার বাংলাদেশের সকলের জন্য সুন্দর পরিবেশ)এ স্লোগানকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার এম,পি এবং বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক জননেতা মাহাবুবুল আলম হানিফের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল আমাদের কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া পৌর পিতা আনোয়ার আলী যেখানে বাংলাদেশের সুন্দর পরিবেশ কুষ্টিয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার অর্জন করেছেন। সেখানে কিছু অর্থ লোভী ব্যবসায়ি ও মানুষ শুধু কুষ্টিয়া নয় দেশ ও পরিবেশের ক্ষতি সাধন কারার কাজে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীগন অভিযোগ করেন, এই ধরনের অবৈধ যায়গা দখল এবং দূগন্ধ যুক্ত পরিবেশের জন্য কুষ্টিয়া পৗরসভা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদাসীনতা বড় হয়ে উঠেছে। তাই পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে কুষ্টিয়ার সাধারন মানুষের আবেদন কুষ্টিয়া সহ সারা বাংলাদেশের পরিবেশ নষ্টকারীদের চিহ্নিত করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হোক।