কুষ্টিয়ায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভাড়াটিয়াকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে বাড়ি মালিকের ছেলে রোকনুজ্জামান রনিকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক রনি ওই এলাকার বজলুল হকের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া গ্রামের এই গৃহবধূ শহরের কমলাপুর এলাকার বজলুল হকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার সকালে ওই বাড়ির মালিকের ছেলে রোকনুজ্জামান রনি (৩৫) এই গৃহবধূর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।” এই নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে রনি পালিয়ে যান।
স্থানীয় জনগণ ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দেয়, সংবাদ পেয়ে কুষ্টিয়া সদর ফায়ার ষ্টেশনের সদস্য গন ঘটনা স্থলে দ্রুত ছুটে যায় এবং সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার জনাব আলী সাজ্জাদ এর নেতৃত্বে আহত ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের এ্যাম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, অগ্নিদগ্ধ এই নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। দেহের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
টাকার অভাবে ওই নারীর চিকিৎসা প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (সদর সার্কেল) তত্ত্বাবধানে তাকে এম্বুলেন্স ভাড়া করে ঢাকার বার্ন ইউনিটে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রনি নামে এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কী কারণে ওই যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি বলে ওসি জানান।