কুষ্টিয়ায় কলেজ ক্যাম্পাসে অনৈতিক কাজে বাঁধা দেওয়ায় মুহাইমিনুর মোর্শেদ মিরাজ (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়েছে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) দুপুর ২টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। আহত হয়ে মিরাজ বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে শহরের ঈদগাহ্ পাড়ার আক্তারুজ্জামানের ছেলে। তবে ছাত্রলীগের দাবি কলেজ ক্যাম্পাসে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা ছেলেটি বহিরাগত। প্রাথমিকভাবে তাকে কেউ চিনতে পারেনি।
সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন হোসেন জানান, সকালে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের একটি কক্ষে একজন বহিরাগত ছেলে এবং কলেজের একটি মেয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঐ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী মিরাজ তার প্রতিবাদ করে। ঘটনাটি অধ্যক্ষকে জানালে সে সময় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে আমরাও উপস্থিত ছিলাম। অধ্যক্ষ ছেলেটিকে তার কক্ষে নিয়ে আসতে বলে। সে সময় বহিরাগত ঐ ছেলের সাথে মিরাজের বাক-বিতণ্ডা হয়। এরপর বহিরাগত ঐ ছেলেটি ফোনে তার বন্ধুদের কলেজ ক্যাম্পাসে ডেকে এনে মিরাজকে মারধর করে পালিয়ে যায়।
পরে আহত অবস্থায় আমরা মিরাজকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সে মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়েছে। কলেজের সিসি টিভি ফুটেজ দেখলে বহিরাগত ছেলেটিকে চেনা যাবে। এবং মিরাজের উপর হামলাও স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে।
সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদীর জানান, এমন একটি ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটেছে। যে ছেলেটি আহত হয়েছে সে প্রতিবাদী ছেলে। এর আগেও অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ সে করেছে। আমরা শিক্ষকরা তাকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। এ ব্যাপারে কলেজের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।