রাজধানীর ওয়ারীতে কুষ্টিয়ার মেয়ে গৃহপরিচারিকা কে দীর্ঘদিন আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহপরিচারিকা শিশুর নাম সালমা (১৩)। সে কুমারখালী উপজেলার ভালুকা গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
অভিযোগে জানা যায়, ৪ বছর আগে কুমারখালী উপজেলার ভালুকা গ্রামের ধর্ন্যাঢ্য ব্যক্তি আমিন মন্ডল তার ঢাকার ওয়ারীর ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পর থেকে কারনে অকারণে তার উপর মানষিক ও শারিরীক নির্যাতন চালাতে থাকে। নির্যাতন সইতে না পেরে সালমা নিজ বাড়ীতে চলে আসতে চাইলে তার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে আমিন মন্ডলের স্ত্রী ও তার মেয়ে-জামাইও তাকে গৃহবন্দী করে নির্যাতন করতে থাকে।
এদিকে দীর্ঘদিন মেয়ের কোন খোঁজ খবর না পওয়ায় সালমার বাবা দরিদ্র সাইফুল ঢাকার ওয়ারীতে সেই বাসায় যান তার মেয়েকে নিয়ে আসতে। বাবাকে দেখে মেয়ের সালমা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সে ঐ বাড়ীতে থাকবে না বলে জানালে তার বাবা তাকে কুমারখালীতে ফিরিয়ে আনতে চায়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমিন মন্ডল ও তার পরিবার। একপর্যায়ে আমিন মন্ডলের জামাই জোসেফ সালমার বাবাকে মারধোর করে বাড়ী থেকে বের করে দেয় এবং একথা যেন কাউকে না বলা হয় এজন্য হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন সালমার বাবা সাইফুল।
মেয়ের কথা চিন্তা করে বাড়ী ফিরে আসে। সর্বশেষ গত ৪দিন আগে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ঢাকার সেই বাড়ী থেকে পালিয়ে আসে সালমা। বাড়ীতে আসার পর নির্যাতনের ক্ষতের যন্ত্রনায় কাতর হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।
সেখানে চিকিৎসা চলে সালমার। কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মানা শান্তা ঘোষ জানান, সালমা নামের এক রোগীকে নিয়ে এসেছিলো তার স্বজনেরা। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আমিন মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সালমা অন্যায় করেছিলো তাই তাকে শাস্তি দিয়েছি মাত্র। সে আমার নিজের লোক বলে তার গায়ে হাত তুলেছি, এটা আমাদের ব্যাপার। আমরা এলাকায় আসছি আগামীকাল। এলাকায় বসে সমাধান করবো। এ ব্যাপারে নিউজ না করারও অনুরোধ করেন তিনি।