কুষ্টিয়া ভেড়ামারার সোলাইমান শাহ্ মাজার কেন্দ্রীক চলছে প্রতারণামুলক ব্যবসা সর্বশান্ত হচ্ছে সাধারন মানুষ।
গত শুক্রবার বেলা ৪টার দিকে ভেড়ামারা, গোলাপনগর দরবার শরিফ(সোলাইমান শাহ্ র মাজার) গিয়ে দেখা যায়,একজন ৩৫/৩৮বছরের মহিলা উক্ত দরবার শরিফের গেটের পাশে বসে জ্বীন হাজির করে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করছে। এই প্রতিবেদকের বিষয়টি সম্পর্কে কৌতুহল হলে তিনি মোবাইলে ঘটনাটির দৃশ্য ভিডিও ধারন করতে থাকে, এর পরপরই উক্ত স্থানে থাকা প্রতারক চক্রের লোকজন ফোনে ভিডিও করার কারনে প্রতিবেদককে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।
ঘটনার আকর্ষীকতায় প্রতিবেদক আরো অনুসন্ধানী হয়ে যান, তিনি প্রতারক চক্রের নিকট নিজের ভুল স্বীকার করে নিজের রুগী আছে এবং তাকে ভালো করে কবিরাজ দেখাতে হবে বলে জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী কথাবার্তা শুরু করেন,ফলও পেয়ে যান হাতেনাতে। ওই মহিলা প্রতারকের নাম জানা যায়, তার নাম ববি,স্বামীর নাম ফাহিম,বাড়ি কুষ্টিয়ার শহর তলীর ত্রীমহনী বি,এল,টি,সির পিছনে। কথা হয় প্রতারক মহিলার এক দালালের সাথে, তিনি আজ(গতকাল ২২/০৯/১৮ইং) বিকেলে রুগি উক্ত ববির বাড়িতে নিয়ে আসতে বলেন। এসময় দালাল রুগীর সমস্যা জানতে চাইলে তাকে বলা হয়, রুগী আমার ছোট ভাই তার ৭/৮বছর যাবৎ কিছু সমস্যা হচ্ছে, মাঝে মাঝে তার মাথা এলোমেলো হয়ে যাই, পাগলামি শুরু করে তখন সে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনা, অনেক ডাক্তার দেখায়ে লাভ হয়নি।
এদিকে প্রতারক ববির সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো,এই দরবার শরিফ কেন্দ্রীক প্রায় ৫/৬বছর যাবৎ প্রতারনা মুলক ব্যবসা করে আসছে,একেকজন মক্কেল বুঝে ২০/৫০হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় জ্বীনের মাধ্যমে সমস্যা দুর করার নামে আর এ কাজে তাকে সক্রিয় সহযোগীতা করে থাকে দরবার শরিফের খাদেম মোঃ রবিউল ইসলাম সহ কতিপয় স্থানিয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি ফলে প্রতারক ববি প্রকাশ্যে দিবালোকে উক্ত দরবার শরিফের ভিতর প্রতারনা করে মানুষের নিকট থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলে না।
পরদিন অর্থাৎ গতকাল সন্ধায় ববির বাড়িতেএকজনকে রুগী সাজিয়ে উপস্থিত করা হয়, প্রথমে ববি আসনে বসে দোয়া-দরুদ পড়ে জিকির শুরু করে দেয়, জিকিরের মাঝে ববির গায়ে চলে আসে কথিত জ্বীন, এরপর রোগীর নাম শুনে রুগীর সমস্যা বলতে শুরু করে,সমস্যা বলতে ঐ কথাই বলে যা গতকাল দালালকে বলা হয়েছিল, রুগীও কম নয় শুরু করে পরিকল্পনা মোতাবেক কথাবার্তা, শেষে ববির গায়ে ভরকরা পাগলা জ্বীন বাবা ধরা পড়ে সাংবাদিকের পাতা জালে।এরপর হতভম্ভ হয়ে যায় প্রতারক ববি,বলতে শুরু অসংলগ্ন কথাবার্তা, আর তাদের বাচাতে এগিয়ে আসে ববির কাছ থেকে সুবিধা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা, এ তালিকায় স্থানিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে আছে কতিপয় সাংবাদিক।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেলো, তারা তেমন কিছুই জানতো না এই প্রতারক ববির সম্পর্কে,সাংবাদকদের যৌক্তিক কথা শুনে ও প্রমান দেখে তারাও বিস্ময় প্রকাশ করেন।বিষয়টি মুঠোফোনে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন কে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।