কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের মহিষাডোরা ঈট ভাটার সামনে থেকে রাত অানুমানিক ১০ টার দিকে রাস্তায় গাছ ফেলে স্কুল ছাএের গতি রোধকরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ডাকাতি করে নিয়েছে পাটুয়াকান্দী এলাকার চিহ্নিত ৫ ডাকাত।
তবে ৫ ডাকাতকে বাচাঁতে রাতের অন্ধকারে দৌড়ঝাঁপ করে মিমাংসার চেষ্টা করছেন ধরমপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য ঝন্টু মেম্বার। এতেকরে এলাকার মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় বয়ছে। এবং বিষয়টি তদন্ত্য সাপেক্ষে ৫ ডাকাতকে
আইনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্র জানায়, সপ্তাহ খানেক পূর্বে ইন্জিন চালিত পাখি ভ্যানে চড়ে রাত নয় টার দিকে সাতবাড়ীয়া বোনের বাড়ী থেকে নিজের বাড়ী নলুয়ায় ফিরছিলেন, পথিমধ্যে মহিষাডোরা ইট ভাটার সামনে গাছ ফেলে গতি রোধ করে ৫ জন মুখোশ পরিহিত ডাকাত।
ভয়ে ভ্যানচালক দৌড়ে পালালে মারপিঠ আরম্ভ করে ডাকাত দল। পকেটে থাকা মোবাইল ফোনও নগদ টাকা কেড়ে নিতে চাইলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে চিনতে পারে ডাকাতদের, কিন্তু গলাই চাপাতি ধরলে বাধ্য হয় ডাকাতদের সব কিছু দিয়ে আসতে।
স্কুল ছাত্র স্বাধীন(১৫) পাটুয়াকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাএ এবং নলুয়া গ্রামের প্রবাসী নাসিরের ছেলে।
সে আরো জানায়, পাটুয়াকান্দী এলাকার উজ্জলের ছেলে মাসুম বিল্লাহের নেতৃত্বে ৫ জন ডাকাত ডাকাতিতে অংশ নেয়।
তবে, স্কুল ছাএ শিমুলের মা জানান, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ডের ইউ, পি সদস্য ঝন্টু মেম্বার প্রশাসনকে না জানিয়ে ধামাচাপা দিতে নানা হুমকি ধামকি দিতে থাকে, এক পর্যায়ে রাতের অন্ধকারে খুইয়ে যাওয়া নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ফেরৎ দিয়ে যায় ঝন্টু মেম্বার
এতে এলাকার মানুষের মাঝে বিরুপ ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
ডাকাতদের মদদ দাতা কারা? এবং এতবড় একটি ঘটনা এতটুকু একটি গ্রামে কার ইশারায় সংঘঠিত হল প্রশাসনের নিকট তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।