কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে বটতৈল মোড় এলাকায় এখন ধুলার কারণে দিনের বেলায় অন্ধকার! ভোগান্তি ও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ প্রতিনিয়ত
ধূলোর মাঝেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে ওই স্থান দিয়ে যাতায়াত করছে যাত্রী সাধারণ ও পথচারীরা। ধুলাই অতিষ্ঠ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। বটতৈল মোড় একাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধুলার কারনে দিন কেও এখন রাত মনে হয়। সকাল হলেই সড়কের সামনের ১০ ফুট দূরত্বের জায়গায়ও ধূলাই দেখা যাচ্ছে না। ধুলা কারনে সেখানে গাড়ি চলছে খুব ধীরগতিতে। যাত্রীদের নাকে রুমাল কিংবা কাপড় চেপে ওই স্থান অতিক্রম করতে হচ্ছে। তবে ধূলাই সবে চেয়ে বেশী দূর্ভোগের শিকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি খাবারের হোটেলসহ কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা ও চরমদূর্ভোগে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বটতৈল বাইপাসের সন্মুমে মোড় এলাকায় নির্মাণাধীন পোড়াদহ ও ঝিনাইদহ সড়কে রাস্তার চওড়া করনের কাজ শুরু হয়েয়ে কয়েক মাস আগে থেকে। কিন্তু এই কাজ মন্তর গতিতে চলায় এবং রাস্তার পাশের বেশ কিছু অংশ খোঁড়াখুড়ির পর দ্রুত সড়ক সংস্কার না করে দিনের পর দিন ফেলে রাখায় যাত্রী ও স্থানীয়দের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কবে নাগাত কাজ শেষ করবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তার কোন ঠিক নেই। এদিকে বালি ও পাথর ফেলে নামে মাত্র রোলার করে দিনের পর দিন ফেলে রাখা হয়েছে সড়কের কাজ এবং ওই স্থানে সড়কে ধুলা যেন না উড়ে সে জন্য নিয়মিত পানি দেয়ার নিয়ম থাকলেও সে ক্ষেত্রে ঠিকাদারের কোন মাথা ব্যাথা নেই! এতে সারাক্ষান ধলার দাপটের কাছে অসহায় যাত্রী সাধারণ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া বটতৈল মোড়ের বেশ কয়েক জায়গায় পিচ উঠেগিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। প্রতিনিয়তই সেখানে খানাখন্দে পড়ে যানবাহন বিকল হওয়াসহ ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
মহাসড়কের আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়ি, আর গাছপালা এখন ধুলোর দখলে। চলাচলের সময় ধুলায় সামনের কিছুই দেখা যায় না এমনকি নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয় চালক ও যাত্রীদের। এরই মাঝে এক প্রকার বাধ্য হয়ে চরম ধুলার দূর্ভোগের মধ্যে সারাক্ষন থাকতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের। মোড়ের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধুলাই অতিষ্ঠ করে তুললেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোন মাথা ব্যথা নেই।