কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইমরান হোসেন (২৩) নামের এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গু রোগে মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ছয়জনে পৌঁছাল।
ইমরান কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের হৃদয়পুর গ্রামের নাসির মণ্ডলের ছেলে। তিনি দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত রোববার জ্বর নিয়ে ইমরান হাসপাতালে যান। তাঁর রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে সেদিন তিনি বাড়ি চলে যান। পরদিন হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। এরপর অবস্থার অবনতি ঘটলে বুধবার সকালে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভর্তি থাকা অবস্থায় ইমরানের মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য বুধবার রাতে তাঁকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইমরানের আত্মীয় রাজ্জাক মণ্ডল বলেন, ঢাকায় তাঁর চিকিৎসা চলছিল। হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গতকাল রাত নয়টার দিকে ইমরান মারা যান। আজ শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়িতে তাঁর লাশ পৌঁছায়। সকাল দশটায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
আড়িয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ওয়ালিউর রহমান বলেন, ইমরান ডেঙ্গু রোগী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।
চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৩০০ জন রোগী সরকারি হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এর আগে এক কিশোরী, এক কলেজছাত্র ও তিন গৃহবধূর মৃত্যু হয়।