কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আসলাম হোসেন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি হোমকোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
শনিবার (০৬ জুন) বিকেলে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম।
সিভিল সার্জন জানান, শুক্রবার (০৫ জুন) সন্ধ্যা থেকেই তিনি সর্দি, জ্বর অনুভব করলে শনিবার (০৬ জুন) সকালে তিনি নমুনা দেন পরীক্ষার জন্য। বিকেলে ফলাফল করোনা পজিটিভ আসে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় মোট ১১১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুরে ২৩, ভেড়ামারায় ১৯, মিরপুরে ১২, কুষ্টিয়া সদরে ৩২, কুমারখালীতে ১৮ এবং খোকসায় ৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ রোগী ৮৫ ও নারী ২৬ জন। সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন মোট ৩১ জন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত জানান, ডিসি স্যার করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তিনি হোমকোয়ারেন্টিনে রয়েছেন এবং সুস্থ আছেন।
জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
আহমেদ সাদাত আরও জানান, করোনা সংক্রমণের পর থেকেই কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন স্যার করোনায় অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন। শুক্রবার (০৬ জুন) ছুটির দিনেও তিনি অসহায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। ডিসি স্যার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর যারা স্যারের সার্বক্ষণিক পাশে থেকে কাজ করেছেন তারাও করোনা পজিটিভ কিনা তা নিশ্চিত হতে রোববার (০৭ জুন) নমুনা দেবেন। তবে তার আগে জেলা প্রশাসনের সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির বলেন, রাতে কাশির সঙ্গে জেলা প্রশাসকের ১০২ মাত্রায় জ্বর ছিল। বর্তমানে জ্বর ১০০ তে নেমে এসেছে। তবে হালকা কাশি আছে। হোম আইসোলেশনে রেখেই তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই প্রথম কুষ্টিয়া জেলায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। আসলাম হোসেনের সাথে দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসনের আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকেও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আগামীকাল তাদের নমুনা সংগ্রহ করে নিশ্চিত হওয়া যাবে আর কোন কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন।