কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁওড়িয়ার জয়নাবাদ গ্রামে স্বামীর শয়ন কক্ষ থেকে জুম্মি খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধু ওই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রাসেলের স্ত্রী।
অন্যদিকে নিহত জুম্মি খাতুন জেলার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদা খাদিমপুর গ্রামের আব্দুল বারী মালিথার মেয়ে। নিহত জুম্মি খাতুনের ৪ মাস বয়সী জুনায়েদ নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
জুম্মির শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের দাবী সে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে জুম্মির পিতার পরিবারের লোকজন বলছেন, বিয়ের সময় জামাইয়ের মোটর সাইকেলের যে দাবী ছিল, সেটা পুরণ করতে না পারায় জামাই ও জামায়ের বড় ভাই (জুম্মির ভাসুর) জুয়েল (৩৪) সুকৌশলে হত্যা করে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে চেষ্টা করছে।
জুম্মিকে হত্যা করা হয়েছে, না সে আত্মহত্যা করেছে এমন সমিকরনের মধ্যেই কুষ্টিয়া সদর থানার এস আই আতিকের উপস্থিতিতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিহতের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।পরে জুম্মির পিতার পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুঠোফোনে এস আই আতিকের কাছে গৃহবধু জুম্মি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে? এমন প্রশ্ন করা হলে এস আই আতিক জানান, পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য জুম্মি বিএ শ্রেণীতে লেখাপড়া চলাকালীন অবস্থায় রাসেলের সাথে তার পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়।