কুষ্টিয়া পেয়ারা তলা গ্রীন মেডিকেল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় হাসপাতালের লাইসেন্স বা কোন প্রকার রেজিস্ট্রার দেখাতে ব্যার্থ হন গ্রীন মেডিকেল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্মচারীরা। শুধু তাই নয় গ্রীন ডায়গনস্টিক সেন্টারের অস্ত্রোপচার কক্ষসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখতে পাই ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্টিং রিএজেন্ট পাওয়া যায়, কিছু রিএজেন্ট খোলা অবস্থায় পাওয়া যায় যা নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় রাখার কথা। দুজন রোগী ভর্তি ছিল, ক্লিনিকে ছিলনা কোন ডাক্তার, নার্স বা ল্যাব টেকনিশিয়ান। দুজন রোগীর মধ্যে একজনের সিজার করা হয়েছে, তাও কোন ডাক্তার তার সিজার করেছেন রোগীর ফাইলে বা ফর্মে তার স্বাক্ষর নাই। যা সেবা গ্রহীতাদের অর্থ, স্বাস্থ্য এমনকি জীবনহানির কারণও হতে পারে।
এমতাবস্থায় আদালতের হাকিম কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আবু রাসেল গ্রীন ডায়গনস্টিক সেন্টারটি তালা মেরে সিলগালা করে দেয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহায়তায় ভর্তি রোগী দুজনের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা হয়।
র্যাব-১২ এর সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আবু রাসেল। এসময় কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৈয়দ রাকিব হাসান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, র্যাব-১২ এর সদস্যবৃন্দ, বেঞ্চ সহকারী ও অন্যান্য সহকারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মোস্তাক আহমেদ বলেন, জনগণের সেবা নিশ্চিতকল্পে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন সর্বদা সচেষ্ট এবং জনকল্যাণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।