কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের কির্ত্তিনগর গ্রামে সোমবার আরজিনা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে ইবি থানা পুলিশ।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘাতক স্বামী কির্ত্তিনগর গ্রামে দেলবার মন্ডলের ছেলে কিয়াম পলাতক রয়েছে। আরজিনা কিয়াম মন্ডলের ২য় স্ত্রী।
এই ব্যাপারে নিহত আরজিনার ভাই কুমারখালী উপজেলার যাদবপুর শ্রীপুর গ্রামের মৃত করিম শেখের ছেলে আব্দুর রহিম জানান, আমার বোনকে নির্যাতন করে হত্যা করে ওড়না দিয়ে লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তিনি আরো জানান, আমার নিহত আরজিনা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে রাত ৯টা, সাড়ে ৯টা ও রাত ১১টার সময় জানায় আমাকে আমার স্বামী কিয়াম মারধর করছে। তোমরা আমাকে বাচাও। এরপর রাত সাড়ে ৩ টার সময় আবার ফোন দিয়ে বলে আমার স্বামী আমাকে মেরে ফেললো তোমরা এসে আমাকে বাঁচাও। সকালে খবর পাই আমার ফোন আরজিনা খাতুনকে হত্যা করে ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। আব্দুর রহিম ও তার পরিবারের দাবী আমার বোনের হত্যার বিচার চাই। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার সরেজমিনে প্রশাসনিক ভাবে তদন্ত করলেই এই হত্যাকান্ডের রহস্য বেড়িয়ে আসবে ।
এই ব্যাপারে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ রতন শেখের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এর মাঝে যদি কেউ আত্মহত্যা প্ররোচনা করা হয়েছে বলে মেয়ের পরিবার অভিযোগ করে তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। এলাকাবাসী এই হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে ফুসে উঠেছে।