আজ সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুমারখালী উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি রাইসুল ইসলাম কে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনের সময় সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি রাইসুল ইসলাম নৌকা প্রতীকের মান্নান খানের নির্বাচন করেন।অপর দিকে কুমারখালী শিলাইদহ ইউনিয়নের আবেদ মেম্বার আনারস প্রতীকে নির্বাচন করাই দুজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সকালে মোস্তাফিজের মোটরসাইকেলে চেপে রাইসুল ইসলাম কুমারখালীর উদ্দেশ্যে আসার পথে শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর পৌঁছায়। এ সময় স্থানীয় আবেদ মেম্বার, আবেদ মেম্বারের ছেলে বোল্লা ও নাসির এবং আজিজুল পরামানিকের ছেলে সম্রাটসহ কয়েকজন মিলে রাইসুল ইসলাম কে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয়রা রাইসুল ইসলাম কে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল স্থানান্তর করে। রাইসুল ইসলাম এখন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তাপস কুমার সরকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাইসুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবেদ আলীকে পুলিশ আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।