কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের কারাবন্দীদের হাতে তৈরি একতারা দিয়েই এবারের বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের স্মরণোৎসব-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের অতিথিদের বরণ করা হবে। এমনই সংবাদ জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের সুপার জাকের হোসেন।
জেলা কারাগারে আটক হাজতিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগানো হচ্ছে। এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একদিকে যেমন অপরাধ সংশোধন হচ্ছে অন্যদিকে মুক্তির পর তাদের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা যায়, প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর তারা জামিনে মুক্ত হয়ে কেউ নিজে দোকান দিয়ে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি মেরামত করে বেকারত্ব ঘোঁচাচ্ছেন, আবার কেউ অন্যের দোকানে চাকরি নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন।
কারা সুপার জাকের হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান জেলা কারাগার পরিদর্শনে এসে বন্দীদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বন্দীদের দিয়ে একতারা তৈরির কথা জানান কারা সুপারকে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়েই আমরা কারাবন্দীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে একতারা তৈরি করতে শুরু করি এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে তা সরবরাহ করি। জেলা কারাগারের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হানের পক্ষে একতারাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শরীফ উল্যাহ কবীরের হাতে তুলে দেয়া হয়।
জাকের হোসেন বলেন, শিক্ষার আলো ছড়াতে এখানে আসা অল্প বয়সী হাজতিদের হাতে-কলমে কিছু শিক্ষা দিতে শিক্ষিত কয়েদিদের দিয়ে অশিক্ষিত নিরক্ষর বন্দীদের স্বাক্ষর শেখানো এবং অক্ষর চেনানোর কাজ চলছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান বলেন, কারাগার শুধু অপরাধীদের বন্দিশালা এমনটা নয়, সময়ের প্রয়োজনে ক্রমেই এতে পরিবর্তন এসেছে।