গত কয়েকদিন ধরেই কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপদাহ চলছে। গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনমনে। কোথাও যেন মিলছেনা স্বস্তি। সামর্থবান মানুষেরা গরম নিবারনে সক্ষম হলেও খেটে খাওয়া মানুষের ভরসা যেন প্রকৃতিই। গাছ গাছালী কিংবা ছায়া শীতল পরিবেশই তাদের অবলম্বন। আবার তীব্র গরমে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ বালায়। আবহাওয়া অফিস বলছে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে,এমন পরিস্থিতি থাকবে আরো কিছুদিন ।
বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ায় তীব্র তাবদাহ অনুভূত হয়। সূর্য ওঠার পর থেকেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। দুপুর ২টার পর তাপমাত্রা চরমে পৌছে। সড়ক মহাসড়ক অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়ে। কুষ্টিয়া আবহাওয়া অফিসের হিসেব মতে বুধ ও বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ডিগ্রী’র ওপর ছিল। যদিও কুষ্টিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনার রশিদ জানান বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭.৮ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ৩৯ডিগ্রীর ওপরে। তিনি জানান কুষ্টিয়া তথা আশাপাশ এলাকায় মৃদুতাপ প্রবাহ চলছে। এমন অবস্থা আরো কয়েকদিন থাকতে পারে।
গতকাল কুষ্টিয়ার শহরের চিত্র ছিল ভয়াবহ। তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষ খুব একটা বের হতে পারেনি। আর যারা বের হয়েছেন তাদের অবস্থা যে করুন ছিল তা তাদের চেহারাতেই স্পষ্ট বোঝা গেছে। ব্যবসা বাণিজ্যেও ছিল অনেকটা স্থবিরতা। তীব্র গরমে ক্রেতারা আসেনি খুব একটা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মালিক কর্মচারীরা অনেকটা অলস সময় পার করেছেন। না।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার তাপস কুমার পাল জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণেই ঠাণ্ডা, জ্বর ও ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছে। তাপদাহজনিত কারণে প্রধানত হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। এখন পর্যন্ত সেরকম রোগী ভর্তি হয়নি। তবে বেশ কিছু শ্বাস কষ্টজনিত ও পেটের সম্যসা নিয়ে রোগী ভর্তি হয়েছে।
কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাক্তার ইফতেখার মাহমুদ জানান, প্রচণ্ড গরমে মানুষ ক্ষুধামন্দা, পেটের পীড়া, ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কাছে এসব রোগী বেশি আসছে।
তিনি বলেন, এই গরমে বেশি পরিমাণে পানি, লেবু শরবত, বেলের শরবত এবং ওরস্যালাইন খাওয়া ভালো।