কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বারোদাগ এলাকার সেই আলোচিত করোনা পজিটিভ যুবক সোহাগ রানার বোন, দুলাভাই ও ভাগ্নে এবার করোনা পজিটিভ।
বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব জেলায় যে ১৬ জন করোনা পজিটিভি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তার মধ্যে সোহাগ রানার বোন, দুলাভাই ও ভাগ্নে ওই তালিকায় রয়েছেন।
গত ২৩মে সোহাগ রানা ঢাকায় করোনার নমুনা দিয়ে তার নিজ বাড়ি কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার বারোদাগ গ্রামে আসেন। পরদিন বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী জেলা পাবনার ঈশ্বরদীতে। ওই দিনই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে বউ নিয়ে আসেন বাড়িতে।
গত ২৮ মে ঈশ্বরদীতে বিয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা বৌভাত সারতে পরিবার আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে অনুষ্ঠানে যোগদেন সোহাগ রানা। পরদিন সকালে সোহাগ মোবাইল ম্যাসেজে জানতে পারেন তিনি করোনা পজিটিভ। তাৎক্ষনাৎ কাউকে কিছু না বলেই স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজন নিয়ে চম্পট দেন বাড়িতে।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন জানতে পারলে সোহাগ রানার বাড়িসহ আশপাশ বেশ কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দেন। সেই সাথে সোহাগ রানার পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই সোহাগ রানার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। একই সাথে সোহাগ রানার পরিবারের সদস্যদের শরীরে করোনা সংক্রমন রয়েছে কীনা তা নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে সোহাগ রানার দুলাভাই, বোন এবং ৮ বছরের ভাগ্নে করোনা পজিটিভ। ওই ঘটনার পর করোনা পজিটিভ তিন জনকেই হোমআইসোলেশনে রাখা হয়।
এবিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ জানান, আক্রান্তদের হোমআইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তারা কঠোর নজরদারীতে রয়েছে। তাছাড়া আশপাশ এলাকাও লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্তদের সার্বিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সোহাগ রানা ও তার পরিবারের আরো তিন সদস্য করোনা পজিটিভ হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।