কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার গজনবীপুর গ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ, বিয়ার, প্রাইভেট কার সহ ১ জন মাদক কারবারি আটক।
কুষ্টিয়া জেলা থেকে মাদক মুক্ত করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শনিবার কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত,পিপিএম(বার) এর দিক নির্দেশনায় দুপুর ১২:৩০ মিনিট রতন শেখ, অফিসার ইনচার্জ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা, কুষ্টিয়া’র দক্ষ পরিচালনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশের অভিযানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন উজানগ্রাম ইউনিয়নের গজনবী পুর এলাকা হতে ধাওয়া করে সন্দেহভাজন একটি প্রাইভেটকার আটক করে যাহার নম্বর ঢাকা মেট্রো খ ১২-৪২২৩। উক্ত প্রাইভেটকার তল্লাশী করে গাড়ীর ভিতর হতে বিয়ার ক্যান ৬৭০ টি এবং বিদেশী মদ ১১০ বোতলসহ আসামী আমজাদ হোসেন, পিতা-আঃ গনী, সাং-কালিয়ারচর, থানা-পূর্বধলা, জেলা নেত্রকোনাকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার) বলেন, কুষ্টিয়াকে মাদক মুক্ত করতে সকল প্রকার ভুমিকা রাখা হয়েছে। জেলার প্রতিটি থানা সহ গ্রাম এলাকার ফারি পুলিশ সহ প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ সকলের উপর নির্দেশ রয়েছে মাদকের সাথে কোন আপষ করা যাবে না। মাদকের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এছাড়াও পুলিশ সুপার বলেন, মাদকের সাথে প্রশাসনের কোন ব্যক্তি জড়িত রয়েছে এমনটি প্রমানিত হলে তার ইউনিফর্ম খুলে নেওয়া হবে এবং শাস্তি পেতে হবে। পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার) কুষ্টিয়ায় দায়িত্ব গ্রহনের পর, কুষ্টিয়াকে মাদক মুক্ত করতে দিন রাত পরিশ্রম করছেন। ইতিমধ্যে পুলিশ সুপারের কাজ দেখে শহরের মানুষের মাঝে সস্তি ফিরে এসেছে।
সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় মাদক বিরোধী সমাবেশের পর কুষ্টিয়ায় পর পর দুটি মাদকের বড় চালান আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ডিবি পুলিশের অভিযানে ইবির বিত্তিপাড়া বাজারে ট্রাক সহ প্রচুর মাদক দ্রব্য এবং আজ শনিবার ইবির ওসি রতন শেখ’র অভিযানে প্রাইভেট কার সহ প্রচুর বিদেশী মদ উদ্ধার হয়।
ঘটনার বিষয়ে ইবি থানার ওসি রতন শেখ’র সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদেশী মদ সহ প্রাইভেট কার কুষ্টিয়া অতিক্রম করে ইবি থানা এলাকায় প্রবেশ করলে সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে মাদকের একটি বড় চালান যশোরের দিকে যাচ্ছে। সংবাদ পেয়ে ইবির পুলিশ বিত্তিপাড়া বাজারে অবস্থান করে। এক পর্যায় প্রাইভেট কার চালক পুলিশ দেখে দ্রুত পালানোর সময় একটি করিমন গাড়ির সাধে ধাক্কা লাগে, পরে চালক প্রাইভেট কার নিয়ে দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করে, ঐ মুহুর্তে ইবির ওসি রতন শেখ ধাওয়া করে প্রাইভেট কার আটক করে। আটকের পর চালক গাড়ি থেকে নামতে অস্বিকৃতি জানালে ওসি রতন শেখ’র সন্ধেহ হয়, পরে গাড়িটি সার্চ করে বিদেশী মদের দেখা মেলে, হাইওয়ে পুলিশের সহযোগীতায় উক্ত মাদক দ্রব্য, মাইক্রোবাস সহ চালককে আটক করেন। রিপোর্ট লেখা অবস্থায় এ সংক্রান্তে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।