গভীর রাতে কুষ্টিয়ার খাজানগরে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় যুবক-যুবতি স্থানীদের হাতে আটকের পর তাদের শালিসের নামে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের নয়া নেতারা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন চলছে। পাশাপাশি এলাকার প্রধানবর্গদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর আদর্শপাড়া টিপুর রাইচমিলের ধান চাতালে ওই এলাকার আরশেদ আলীর ছেলে ইউনুস আলী ওই চাতালের এক মহিলা শ্রমিকের সাথে বৃহস্পতিবার রাতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরে ফেলে।
বিষয়টি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত হয় স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শফিকসহ বেশ কয়েকজন। তারা ইউনুসকে পুলিশে ধরিয়ে দেবে বলে ধরে নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় আরেক যুবলীগ নেতা জাগরণী মডেল স্কুলের পরিচালক সজিব মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন ইউনুসকে নিয়ে এসে তারা গোপনে শালিসে বসে। সেখানে থানার পুলিশ ঠেকানোসহ নানাভাবে হুমকী ধামকী মাধ্যমে ইউনুসের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। ওই রাতেই জরিমানার টাকা নেওয়ার পর বিষয় অন্য কাউকে জানালে তাকে পুলিশে দেয়া হবে এবং আরো জরিমানা করা হবে বলে হুমকী দিয়ে ছেড়ে দেয়।
বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরের দিন সকালে আবারও ইউনুসকে ডেকে নিয়ে নেয় তারা। কোথাও যেনো কোন তথ্য না জানানো হয় এ জন্য আবার হুমকী দেয় ওই স্থানীয় যুবলীগ নেতারা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন চলছে পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রধানবর্গরা।
ইউনুস আলী সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওই মেয়ে আমার বাসায় এসেছিল। কিন্তু তেমন কোন ঘটনা না ঘটলেও আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাসানো হয়েছে।
এদিকে শফিক ও সজিবের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।