দোষ স্বীকার করে মুসলেকা দিয়ে পার পেলেন কপোত-কপোতি
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে বারখাদা ডিজিটাল সাব সেন্টার, ডিসিকোট চত্বর কুষ্টিয়ার ব্যাংক এশিয়া’র এজেন্ট ব্যাংকিং এর অফিস থেকে পুলিশের হাতে আটক হয় একজোড়া কপোত কপোতী।
ওই কপোত-কপোতি আটকের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) শরীফ উল্যাহ সহ মডেল থানার পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় জনতা।
জানা যায়, রাত আটটার দিকে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট এস.এম মাহমুদুর রহমান রানা একটি মেয়েকে নিয়ে বারখাদা ডিজিটাল সাব সেন্টারে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পর রানার সহযোগী রানা এবং ওই নারীকে ভিতরে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যায়। এই বিষয়টা জানাজানি হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে দরজা খোলার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) শরীফ উল্যাহ। জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) শরীফ উল্যাহ উপস্থিত হওয়ার পর চাবি এনে রুম খুলে দেয়া হয়। ভেতরে গিয়ে দেখা যায় ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট এস.এম মাহমুদুর রহমান রানা একটি মেয়েকে নিয়ে বসে আছে। রানার রুম চেক করে বেশ কিছু কনডম আলামত স্বরূপ জব্দ করে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) শরীফ উল্যাহ জানান, গতরাতে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ছেলে ও মেয়েকে আমরা কুষ্টিয়া মডেল থানা হেফাজতে দিয়েছি। আজ থানাতে ছেলে ও মেয়ের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন জানান, গতরাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) শরীফ উল্যাহ আমাদেরকে খবর দিলে আমরা ছেলে ও মেয়েকে আটক করি। আজ (মঙ্গলবার) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের নির্দেশেই মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়।