কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে স্ত্রী, সন্তান ও শশুর বাড়ীর লোকজন আতাহার আলী (৪২) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রোববার ভোরে ইছাখালী গ্রামে তার নিজ বসত বাড়ীতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত আতাহার আলীকে উদ্ধার করে কুমারখালী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। আহত আতাহারের বড় ভাই হবিবার রহমান বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ে করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আতাহার আলী তার বাসত বাড়ীসহ সমস্থ্য জমি বিক্রি করে তার স্ত্রীর দায়িক-দেনা পরিশোধের চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আতাহার তা দিতে না রাজি থাকায় আতাহারের স্ত্রী রূপালী খাতুন ষড়যন্ত্র করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ভাই একই উপজেলার গট্টিয়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে জহুরুল ও তার ভাই বকুল, সাত্তারের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, আতাহারের নিজের সন্তান রহমান ও মেয়ে মৌসুমীসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন মিলে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঘুমিয়ে থাকা আতাহারের মুখের মধ্যে প্রথমে কাপুড় ঢুকিয়ে দেয়। পরে তারা হাতপা বেধে বেধড়ক নির্যাতন করে পাশ্ববর্তী অন্য রুমে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
এ অবস্থায় গুরুত্বর আতাহার জ্ঞান ফিরে পেলে তার দুই হাত দিয়ে টিনে ধাক্কা দেয়। টিনের শব্দে পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী মনিরুল নামের একজন বুঝতে পেরে চিতকার দিলে হামলাকারী পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত আতাহারকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমারখালী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবণতি ঘটায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফোর্ড করে। কুমারখালী থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দোষীদের আটক করে দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তির দাবী সচেতন এলাকাবাসীর। এদিকে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে।