সাক্ষর জাল করে প্রধান শিক্ষকের পদ অবৈধভাবে দখল, বিদ্যালয় ফান্ডের অর্থ ও রড চুরি, সবার চোখে ধুলা দিয়ে অবৈধভাবে তিনজন শিক্ষকের নিয়োগ বাণিজ্যের পর এবার শাহানিলা নামের এক ক্লার্ক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, মোটা অঙ্কের অর্থ বাণিজ্য করে মিজানুর রহমান, ইমরান হোসেন ও ফিরোজা খাতুন কে ২০১৫ সালে নিয়োগ দেখিয়ে ২০১৮ সালে এমপিওভূক্ত করেছে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক কানাঘুষার একপর্যায়ে সরেজমিন তদন্ত করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জায়েদুর রহমান। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার কানাঘুষা শুরু হয়েছে ক্লার্ক নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে নিয়োগ দেখানো হয়েছে ক্লার্ক শাহানিলা কে। কিন্তু শাহানিলা কোনদিন বিদ্যালয়ে না আসলেও হঠাৎ ২০১৮ সালের ১লা মে তার এমপিও আসে। বেতনও উত্তোলন করে একমাসের। এরপর জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনি বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করতে আসলে বিদ্যালয়ের অন্যান্য ক্লার্ক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কৌতূহলের জন্ম নেয়।
বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন গেলে দেখা মেলেনি প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের। জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি চোরের মতো সকালে একপাক স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে কোথায় যেন হারিয়ে যান।
ক্লার্ক শাহানিলার বিষয়ে জানতে চাইলে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের সকল বিষয় প্রধান শিক্ষকই নিয়ন্ত্রণ করেন, প্রথমে শোনা যায় নিয়োগ হয়েছে পরে হঠাৎ বেতনের পর যোগদান। ক্লার্কের বিষয়টিও এমন।
এ বিষয়ে ক্লার্ক শাহানিলা বলেন, আমার নিয়োগ ২০১৫ সালে। আমি কোনোদিন স্কুলে আসেনি। ২০১৮ সালে বেতন হওয়ায় জুন মাসে স্কুলে আসি। নিয়োগ সংক্রান্ত সবকিছু প্রধান শিক্ষক জানে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিমকে স্কুলে পাওয়া না গেলে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হয়।