নৈতিকতার কতোটা অবনতি হলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদে ঢুকে চুরির ঘটনা ঘটানো সম্ভব ! এমনই একটি ঘৃণিত চুরির ঘটনা ঘটেছে কুমারখালীর দুর্গাপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, মঙ্গলবার ফজরের আজান দিতে গিয়ে মুয়াজ্জিন মসজিদের দরজার তালা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখতে পান সৌরবিদ্যুৎ চালিত লাইট বন্ধ রয়েছে। সে সময় তিনি বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান যে, সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি এবং মাইকের এম্লিফায়ার নেই। মসজিদে চুরি সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি তাৎক্ষনিক মুসল্লি সহ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মুসল্লিাসহ এলাকাবাসি চরম নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন যাবৎ মসজিদের উন্নয়ন কাজ চলছিল। সে সময়ে মসজিদের প্রধান গেটসহ ভিতরে প্রবেশের দরজাগুলো সব সময় খোলা থাকতো। সে সময় এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বর্তমানে মসজিদের বারান্দার কলাপসিবল গেট খোলা থাকলেও মসজিদের ভিতরে প্রবেশের দরজার দরজায় তালা দেওয়া থাকে। অভিনব কায়দায় ওই তালা খুলে সৌরবিদ্যুতের ব্যাটারি ও মাইকের এম্লিফায়ার চুরি করে বাহিরে থেকে দরজার তালা লাগিয়ে রাখা হয়েছে।
মসজিদের মুয়াজ্জিন আজম (অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য) জানান, এই গ্রামে (দুর্গাপুর পূর্বপাড়া) গত ছয় মাসে বসতবাড়ি থেকে খাসি ছাগল, বাই সাইকেল, দুইটি সিএনজি গাড়ির ব্যাটারি চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই চুরির ঘটনাগুলোর সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়াও রাতের আঁধারে ডাব-নারকেল ও সুপারি সহ আনুষঙ্গিক মালামাল চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ঘটনাগুলো নৈতিকতার চরম অবনতি হলেই তাদের দ্বারা ঘটানো সম্ভব। তাছাড়া কোন সুস্থ্য ও স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তথা মসজিদে ঢুকে মালামাল চুরি করা সম্ভব নয়। স্থানীয়দের ধারণা নৈতিকতা বিসর্জন দেওয়া ও সংঘবদ্ধ নেশাগ্রস্থরাই এই চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে। স্থানীয়রা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ও চোরের তৎপরতা বন্ধে উপজেলা আইন-শৃংখলা রক্ষা কমিটি সহ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।