কুষ্টিয়া কুমারখালীতে ঘাতক স্বামী টুটুল (৫০) ও টুটুলের ছেলে আকন কর্তৃক পাশবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে স্ত্রী ছন্দা (৪০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে এবং আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত স্বামী টুটুল ও তার ছেলে আকন উপজেলার এলঙ্গীপাড়ার বাসিন্দা এবং ছন্দা কুষ্টিয়া রোকসী সিনেমা হল গলির মৃত মনোয়ার হোসেন এর কন্যা।
গত বৃহস্পতিবার টুটুল ও আকন ছন্দার উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বের করে দেয় এবং এতে ছন্দার মাথায় ও হাতে গুরুতর আঘাত পায়। অসুস্থ শরীর নিয়ে ছন্দা তার নিকটতম আত্মীয়দের কাছে গেলে শুক্রবার দুপুর ১২ টায় তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে ছন্দার একজন আত্মীয় বলেন,, প্রায় ৫ মাস আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ছন্দা ও টুটুলের। কিন্তুু বিয়ের পর থেকেই টুটুল ছন্দার উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এছাড়াও সন্তান না নেওয়ার জন্য টুটুল তার স্ত্রী থেকে দুরে থাকে এবং বার বার বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার হাতুর ও লাঠি দিয়ে টুটুল ও তার ছেলে আকন ছন্দা কে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তিনি আরো বলেন, ছন্দাকে পুড়িয়ে মারার হুমকিও দিয়েছে টুটুল ও আকন।
ছন্দা বর্তমানে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত রয়েছে এবং এখবর লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, টুটুল কুমারখালী পৌরসভায় ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজে কর্মরত আছেন।এবিষয়ে টুটুলের সাথে মুৃঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আকুল বলেন, ওর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে, সিটিস্ক্যান না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।