সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও রয়েছে চাঁপা ক্ষোভ।
কাজী সাইফুলঃ- পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য যে কোনো দিন কবর থেকে সালমার লাশ উত্তোলন হতে পারে।
এদিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হাবিলের পুত্র শাকিল, একই ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের সবদার হোসেন জোয়ার্দ্দারের কলেজ পড়ুয়া কন্যা প্রেমিকা সালমাকে, বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে ডেকে এনে গণ ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে প্রেমিক শাকিলের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী এবং সালমার পরিবার সুত্রে জানা যায়, শাকিলের সাথে সালমার দির্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শাকিলকে সালমা বিয়ের প্রস্তাব দিলে নানা তালবাহানা করতো আর অন্য সমন্ধ আসলেও বিয়েতে বাধা দিত।
ইবি থানাধীন আব্দুলপুর গ্রামের খয়বার মন্ডলের ছেলে মো. রিপনের সাথে সালমার বিয়ে দিলে শাকিল সালমার সংসার করতে দেইনি বলে জানা যায়।
সালমাকে বিয়ের প্রলোভনে শাকিল সালমার বিবাহিত স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে। গত ০৯/০৯/২০১৯ তারিখে প্রেমিক শাকিলের বসত ঘরে আড়ার সাথে ওড়নায় প্যাচানো অবস্থায় সালমার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
সালমার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অপমৃত্যু, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনসহ ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে সালমার অপমৃত্যুর মামলার সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ ও চাঁপা ক্ষোভ রয়েছে সালমার স্বজনদের।
২১/১০/২০১৯ সালমার ভাই মো. ফিরোজ হোসেন তার বোনকে ধর্ষণ পূর্বক হত্যা করে, অভিযোগে তার বোনের মৃতদেহ উত্তোলন করে পুনরায় ময়না তদন্তের আবেদন করলে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এর উপস্থিতিতে ভিকটিম সালমা খাতুনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন পূর্বক পুনরায় ময়না তদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-কুমারখালী, কুষ্টিয়া নির্দেশ প্রদান করেন।