সারাদেশের ন্যায় পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারীদের পেনশনসহ বেতন-ভাতাদি রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে পাওয়ার দাবিতে পৌরসভা কর্মচারীদের চলছে দুইদিনের কর্মবিরতি। একই দাবিতে কুষ্টিয়া জেলার প্রাচীন ও বৃহত্তর পৌরসভা কুমারখালী পৌরসভাতে চলছে এই কর্মবিরতি। এতে সকালে কুমারখালী পৌরসভার পানি ব্যতীত সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে পৌরসভা সামনে কর্মবিরতিতে অংশ্য নেই কর্মচারীরা।
এসময় তাদের দাবি-দাওয়া কথা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কুমারখালী পৌরথানার সভাপতি আবদুল হালিম জানান পেনশন বেতন-ভাতাদি রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে পাওয়ার দাবিতে আমাদের পৌর কর্মকর্তাদের এই কর্মবিরতি। তিনি আরো জানান বাংলাদেশের ৩২৭ টি পৌরোসভায় একযোগে চলছে পেনশন বেতন-ভাতাদি রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে পাওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি। কর্মসূচি হিসেবে জানুয়ারি ১৫-১৬ পানি ব্যতীত পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে নিতি জানান। সরকার যদি আনন্দলনের একাত্মতা ঘোষণা না করে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত পৌরসভা কর্মচারীরা।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রিয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তার সাথে সকল পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারীরা সেই কর্মসূচি অংশগ্রহণ করবে।
আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে আন্দোলনের বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন আমাদের সন্তানের লেখাপড়ার খরচ সহ সংসারের যাবতীয় খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রীতিমতো। এজন্য সারকারের কাছে আমাদের প্রাণের দাবী পেনশনসহ বেতন ভাতাদি রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে দেওয়া হোক।এবং আমাদের আন্দোলন জানুয়ার ১৫-১৬ পৌরসভার পানি ব্যতীত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এবং অচিরেই যেন সরকার আমাদের প্রাণের দাবী দাওয়া গুলো মেনে নেয় এই আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।