প্রতিপক্ষ স্থানীয় বখাটের বেপরোয়া কার্যক্রমের প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার গুরুতর আহত কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ খানকে কোন চিকিৎসা না দিয়েই হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) অাসনের সাংসদ বনাম স্থানীয় আওয়ামী লীগের গ্রুপিং রাজনীতির শিকার চিকিৎসা বঞ্চিত হাফিজ খান বর্তমানে একটি বে-সরকারী ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।
অাহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন ২১ আগস্ট শোক দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংসদ গ্রুপ সমর্থিত স্থানীয় বখাটে যুবকরা বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া বাজারে বেহায়াপনা করছিল। এ ঘটনায় ওই আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রতিবাদ করেন এবং তার সহযোগিতায় পুলিশ ওই যুবকদের মোটরসাইকেল আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় যুবকরা।
এঘটনার জের ধরে ২৩ আগস্ট সকালে হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ খান শালঘর মধুয়া বাজারের নিকট হিন্দু পাড়ায় পৌছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আব্দুল বারী, রেজাউল, আবু জাফর সহ ১৫-২০ জন তাক ঘিরে ফেলে। বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে চলে যায়।
হাফিজ খানের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এঘটনায় কুমারখালি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১৩, তারিখ-২৩/৮/১৮ইং।
অাহত অাওয়ামী লীগ নেতা হাফিজ জানান, মামলার এজাহারে কুষ্টিয়া শহরের একজন চিকিৎসকের নিকট আত্মীয়র নাম থাকায় হাসাপাতালে ভর্তি হয়েও চিকিৎসা না দিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। ওই দিনই স্থানীয় ভাবে নেয়া ব্যান্ডেজ খুলে দিয়ে সেরে গেছেন বলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেয়।
সার্বক্ষণিক গুরুতর আহত চাচার চিকিৎসার জন্য লেগে থাকা হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ খানের ভাতিজা রবিউল হক রুবেল জানান, পরিবারের লোকজন অনেকটা বাধ্য হয়েই শহরের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করি । সেখানে এক্স-রে সিটিস্ক্যান করে রিপোর্ট অনুসারে তার ডান পা, ডান হাত ভেঙ্গে গেছে এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিবুল চিকিৎসা না দিয়ে আমাদের সাথে চরম খারাপ আচরণ করেছেন। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়া চাচার সব ব্যান্ডিজ খুলে দিয়ে ওনার কিছু হয়নি বলে জোর করে রিলিজ করে দেন বিকেল। রাতটা হাসপাতালে থেকে সকালেই আমরা চলে আসি।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ তাপস কুমার সরকার জানান, চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে কাউকে বের করে দেয়া হয়নি। এধরনের ঘটনা তার জানা নাই। তবে এটি দুঃখজনক ঘটনা। কোন চিকিৎসক যদি ব্যক্তিগত কারণে এটা করে থাকে তাহলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post