কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন উজানগ্রাম ইউনিয়নের করিমপুর কালি নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে রনজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, করিমপুর গ্রামের মৃত আকবর জদ্দারের ছেলে মালেক জদ্দার ও মাথপুর গ্রামের মোমিন টিপুর ড্রেজার ভাড়া করে এনে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। শুধু তাই নই পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়াই একের পর এক পুকুর ভরাট করে পরিবেশের ক্ষতি করে চলেছে এই গ্রুপটি। তারা ওই এলাকার পুকুর ভরাটের সাথে বালু উত্তোলন করে ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করছে।
ইতিমধ্যে কালি নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিশাল স্তূপ তৈরি করে রেখে সেখান থেকে ট্রাক ও ট্রলিতে করে বিভিন্ন জায়গায় এই বালু বিক্রয় করছে।
সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, মিনি ড্রেজার দিয়ে পাইপের মাধ্যমে করিমপুর কালি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে রনজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট চলছে। এদিকে পুকুর ভরাটের বিষয়ে রনজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন কে বিদ্যালয়ে না পাওয়ায় তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখানে এমপি মহাদয় একটি বিল্ডিং নির্মাণ করে দেবে এই জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে টিপুর ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে এই পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। যদি ড্রাম ট্রাকে বালু নিয়ে আসা হয় তাহলে ২০ লক্ষ টাকা খরচ লাগবে।
এ বিষয়টি সদর ইউএনও মহাদয় ও জানে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না এর মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।