করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ।
সরকারের দেশজুড়ে নতুন লকডাউন ফরমুলায় ইয়েলো জোন হিসেবে কুষ্টিয়া থাকবে আংশিক লকডাউনে। খুলনা বিভাগের মধ্যে মাগুরা ও বাগেরহাট জেলাও থাকবে আংশিক লকডাউনে। চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা, মেহেরপুর, নড়াইল ও সাতক্ষীরা যাচ্ছে পুরোপুরি লকডাউন হচ্ছে।
খুলনা বিভাগেই দেশের একমাত্র গ্রিন জোন চিহ্নিত জেলা ঝিনাইদহ, অর্থাৎ এটি লকডাউন হবে না।
দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক এই লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ।
সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ কথা জানানোর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউনেরর রেড জোন দেখানো হচ্ছে।
আংশিক লকডাউনেরর জন্য ইয়েলো জোন দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে। আর লকডাউন নয় এমন গ্রিন জোন দেখানো হচ্ছে একটি জেলা এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি। এগুলো খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে বলে জানা গেছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত পিপিএম (বার) জানান, সরকারের ঘোষিত নতুন জোন ফরমুলা হাতে বাস্তবায়নে সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি জনগনকে নিয়মাচার মেনে চলার আহবান জানান। তিনি বলেন সবাইকে সবার সহযোগীতায় বেঁচে থাকতে হবে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) সহ মোট ১১১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুরে ২৩, ভেড়ামারায় ১৯, মিরপুরে ১২, কুষ্টিয়া সদরে ৩২, কুমারখালীতে ১৮ এবং খোকসায় ৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ রোগী ৮৫ ও নারী ২৬ জন। সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন মোট ৩১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৭৪৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৮৮৮ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই মারা গেছেন ৪২ জন।