আমি, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা সবার সম্মানজনক দাফন নিশ্চিত করবো এ উপজেলায় এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। তবুও শুধু করোনাভাইরাস সন্দেহে এমন দাফন আপনার প্রাপ্য ছিল না, আমি শুধু এতটুকুই বলব।
সোহেল মারুফ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া
এতোদিন পত্রিকান্তরে দেখেছি, এবার নিজে দেখলাম। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করতে কত অজুহাত। অথচ করোনাভাইরাস উপসর্গে মৃত মানুষের দাফনে কত ভয় আর অমানবিকতা!
ভেবেছিলাম, ভেড়ামারা উপজেলায় হবে না এমন,তবে ভুল ভাংতে দেরি হলো না। লিখলে অনেক কিছু লেখা যায়, কিন্তু লিখে কি লাভ!!!
জাগবে না মানবিকতা, শুধু মনোক্ষুণ্ণ হবে কাছের লোকজন।
দুই একটা কথা বলি,খাটিয়া দেয়া হলো না, মেয়র মহোদয় নিজে আইসোলেসনে আছেন, একটা কফিন বানিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করলেন। লাশ গোরস্থানে কিসে নেয়া হবে, এলাকাবাসী চায় না লাশ পৌরসভার লাশবাহী ট্রাকে নেয়া হোক?? কারণ তাতে জীবাণু ছড়াতে পারে??? আমি শক্তভাবে বললাম, এমন হলে আমি লাশ ভ্যানে নিয়ে যাব, সবাইকে দেখিয়ে দিব যে, বুলবুল সাহেবের পৌরসভার মানুষ কত অমানবিক।।।।
আমার,পুলিশের আর মেয়র মহোদয়ের শক্ত অবস্থনের কারণে লাশবাহী ট্রাকে লাশ বহন করা হয়েছে। তিনজন মানুষ-তাদের কথা বলতে হয়, কাউন্সিলর ফারুক সাহেব যিনি সার্বক্ষণিক সাথে থেকে তার দাফন সম্পন্ন করেছেন। দুইজন হাফেয,মকবুল সাহেব ও আনোয়ার সাহেব।
লাশের কবর দেয়ার পরে জিজ্ঞেস করলাম কাছে ডেকে নিয়ে, যেভাবে বলেছিলাম সেভাবে গোসল করিয়েছিলেন? বললো জ্বি স্যার, তবে গায়ে হাত দিতে হয়েছে। বললাম কেন, তাদের উত্তর, একজন মানুষের লাশ গোসল স্যার, হাত না লাগালে কি হয় (গ্লাভস থাকাতে রক্ষা)??
উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান, আমি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি, ৩ জন কাউন্সিলর, মৃত ব্যক্তির দুই কাজিন, সাংবাদিক ১ জন আর দুই হাফেজ সাহেব জানাযায়। আমি, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা সবার সম্মানজনক দাফন নিশ্চিত করবো এ উপজেলায় এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। তবুও শুধু করোনাভাইরাস সন্দেহে এমন দাফন আপনার প্রাপ্য ছিল না, আমি শুধু এতটুকুই বলব।