কোভিট-১৯ আক্রান্ত কুষ্টিয়ার জেলাপ্রশাসক মো. আসলাম হোসেন ভালো আছেন। বর্তমানে তিনি হোমকোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তিনি সরকারি বাস ভবনে থেকে সকল নিয়ম মেনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আজ দুপুরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল ডা. তাপস কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (০৫ জুন) সন্ধ্যা থেকেই তিনি সর্দি, জ্বর অনুভব করলে শনিবার (০৬ জুন) সকালে তিনি নমুনা দেন পরীক্ষার জন্য। বিকেলে ফলাফল করোনা পজিটিভ আসে।
গতকাল নমুনা প্রকাশের পর যখন নিশ্চিত হওয়া যায়, কুষ্টিয়া জেলাপ্রশাসক করোনাপজিটিভ, তখনই তিনি বাসায় অবস্থান নেন। সেখানে নিয়মিতভাবে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুসা কবিরের নেতৃত্বে তার দেখাশোনা ও চিকিৎসা চলছে। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবক টিম সেখানে সার্বকক্ষনিক সেবা প্রদানে নিয়োজিত আছে।
ডা, মুসা কবির জানান, আজ রোববার সকালে নিয়মিত চেকআপ করার সময় জেলাপ্রশাকের সব কিছুই স্বাভাবিক পাওয়া গেছে। আশা করছি তিনি অচিরেই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তিলাভ করবেন।
জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এএইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে আক্রান্ত জেলা প্রশাসকের স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িও রয়েছেন। শনিবার পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় ১১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ জন। বাকিরা চিকিৎসাধীন।
এদিকে জেলা প্রশাসকের করোনা শনাক্ত হওয়ায় জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, এই প্রথম কুষ্টিয়া জেলায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। আসলাম হোসেনের সাথে দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসনের আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকেও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে নিশ্চিত হওয়া যাবে আর কোন কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন।