এসএ গেমসের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলেও সোনা জিততে পারলেন না কুষ্টিয়ার মেয়ে আরদিনা ফেরদৌস। তবে রুপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো আরদিনাকে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) নেপালের কাঠমান্ডুর সাতদোবাটো শুটিং কমপ্লেক্সে এ ইভেন্টে ২৩৪.৬ পয়েন্ট পেয়ে রুপা জেতেন আরদিনা। আর ২৩৮.৪ পয়েন্ট পেয়ে সোনা জিতেছেন ভারতের শ্রী পরমানানথাম।
আরদিনা রুপা জিতে ইতোমধ্যেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন। বাংলাদেশের কোনো মেয়ে প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে পিস্তলের এককে জিতলেন পদক। আবার এটা আরদিনারও এসএ গেমসে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সর্বোচ্চ সফলতা। গত আসরে গুয়াহাটিতে গিয়েও পিস্তলের সমস্যার কারণে এক রাউন্ড শট নিতে না পারায় ফাইনাল রাউন্ডেই বাদ পড়তে হয়েছিল রুপাকে।
আরদিনার জন্মও কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী শুটিং পরিবারে। ২০০৮ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই প্রথম পিস্তল হাতে তুলে নেন আরদিনা। আরদিনার নানা আমজাদ হোসেন ছিলেন কুষ্টিয়া রাইফেল ক্লাবের সদস্য। বাবা, মা, ভাই-বোনও শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন এক এক সময়।
কুষ্টিয়া সদরে ব্যবসা করেন আরদিনার বাবা গোলাম মহিউদ্দিন। মা রেজিনা জেসমিন গৃহিণী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট আরদিনা ফেরদৌস। এআইইউবির বিবিএতে পড়ুয়া এই শুটার এখন আন্তর্জাতিক পদককে পাখির চোখ করেছেন।
তবে আরদিনার শুটিংয়ে আসার গল্পটাও রোমাঞ্চে ভরা। একবার বিভাগীয় শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার জন্য কোনো মেয়ে শুটার ছিল না কুষ্টিয়া শুটিং ক্লাবে। তারপর ভাইয়ের অনুরোধে প্রতিযোগিতায় নাম লেখায় আরদিনা।
রুপা জয়ের পর আরদিনা বলেন, ভারতের শুটাররা অনেক শক্তিশালী এবং ওরা আমাদের চেয়ে বেশি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পায়। ওরাও যখন বাদ পড়ছিল আর আমি টিকে থাকছিলাম দেখে ভালো লাগছিল। তখন একটি বারের জন্যও স্কোর বোর্ডে তাকাইনি। চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দেওয়ার।