মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
রবিবার(৩১ মে) যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, এই বোর্ড পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ শতাংশ কম। ১৩ হাজার ৭৬৪ জন এ প্লাস পেয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। তবে এ বছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে কুষ্টিয়ায় পাশের হার ৮০ শতাংশ। জেলার মধ্যে শীর্ষ স্থান লাভ করেছে ‘জিলা স্কুল’ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯৩ জন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ‘সরকারী বালিকা বিদ্যালয়’ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮১ জন শিক্ষার্থী। দুটি প্রতিষ্ঠানেই গতবার থেকে এবার জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, এবছর কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ৩৫৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৪৬ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯৩ জন। এ গ্রেড পেয়েছে ১২৯ জন শিক্ষার্থী, এ মাইনাস পেয়েছে ২১ জন, বি গ্রেড ০২ জন এবং সি ০১ জন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ১২ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য অর্থাৎ এফ গ্রেড পেয়েছে।
এদিকে জিপিএ-৫ বৃদ্ধিতে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফতে খাইরুল ইসলাম সন্তোস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এবছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থী ১১৫০ মার্কস এর মধ্যে ১১০৮ মার্কস পেয়ে বোর্ডের মধ্যে কৃতিত্ব রেখেছে।
অন্যদিকে কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বছর ৩৫২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৩৯ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮১ জন। এ গ্রেড পেয়েছে ১২৬ জন শিক্ষার্থী, এ মাইনাস পেয়েছে ২৭ জন, বি গ্রেড ০৪ জন এবং সি ০১ জন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ১৩ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য অর্থাৎ এফ গ্রেড পেয়েছে।
অপরদিকে, কুষ্টিয়ার আফসার উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় ৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে, ১৫ জন এ গ্রেড এবং ১২জন এ মাইনাস পেয়েছে। দাখিল পরীক্ষায় উর্ত্তীণ সকল শিক্ষার্থীদের শুভচ্ছো ও অভনিন্দন জানিয়েছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ আব্দুল করিম।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের তথ্য মতে, এ বছর যশোর বোর্ডের আওতায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ২ হাজার ৫২১টি বিদ্যালয় থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ছাত্র ছিল ৮০ হাজার ৩০৯ ও ছাত্রী ৮০ হাজার ৩২৬ জন।
এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৭ হাজার ৪৬ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ৯৬ হাজার ৭৮৮ জন, বাণিজ্য বিভাগ থেকে ২৬ হাজার ৮০১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
এ বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে এক লাখ ৪০ হাজার ২৪৩ জন। ২০ হাজার ৩৯২ জন ফেল করেছে। পাসকৃতদের মধ্যে ৬৮ হাজার ৯১৯ ছাত্র ও ৭১ হাজার ৩২৪ ছাত্রী রয়েছে। এ প্লাস পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। তার মধ্যে ৬ হাজার ৯৫৬ জন ছাত্র ও ৬ হাজার ৮০৮ জন ছাত্রী রয়েছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৯০.৮৮ শতাংশ ও এ প্লাস পেয়েছিল ৯ হাজার ৯৪৮ জন।
পাসকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন এ প্লাস, ৪২ হাজার ১০৮ জন এ গ্রেড, ৩০ হাজার ৩৭৪ জন বি গ্রেড, ২০ হাজার ২৩৯ জন সি গ্রেড ও ৩৫২ জন ডি গ্রেড পেয়েছে।