খুলনা জেলা পুলিশের যেসব কর্মকর্তা ও সদস্যের নামে মাদক অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আগামী এক মাসের মধ্যে ওই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। যদি কোনো কর্মকর্তা ও সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার সামান্যতম প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ রোববার দুপুরে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ। পুলিশ সুপার হিসেবে তাঁর নতুন দায়িত্ব নেওয়া উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মাদক চোরাচালান ও সরবরাহে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহায়তাকারী হিসেবে খুলনা জেলা পুলিশের ১২ কর্মকর্তার নাম এসেছে। এর মধ্যে দুজন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সাতজন উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রয়েছেন।
মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আন্তর্জাতিকভাবে কিছু দেশ চাইছে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে, যুবসমাজ ধ্বংস করে দিতে, ছাত্রসমাজ ধ্বংস করে দিতে। আর সেটা করা হচ্ছে মাদকের মাধ্যমে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো অত্যন্ত সুকৌশলে এটা করার চেষ্টা করছে। আর তাদের ওই পরিকল্পনা ব্যর্থ করায় আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। একা পুলিশের পক্ষে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এ কারণে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।’
প্রসঙ্গত, এস এম শফিউল্লাহ ২৪তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডারে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জের সদর থানার গড়ইগাতী গ্রামে।