এক টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তিন ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছে তিন হাজার চা শ্রমিক। জেলার কমলগঞ্জের পাত্রখোলা, কুরমা ও কুরমা চা বাগানের অধীন দুটি ফাঁড়ি চা বাগানে তিন হাজার শ্রমিক পাতা উত্তোলনে বন্ধ করে বাগান অফিসের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চা শ্রমিকরা এ কর্মবিরতি পালন করে। বাড়তি মজুরির দাবিতে শ্রমিকেরা সকাল ৯টা থেকে বাগান অফিসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন।
জানা যায়, একজন নারী শ্রমিকের প্রতিদিন নির্ধারিত ২৩ কেজির অতিরিক্ত চা পাতা উত্তোলনে কেজি প্রতি শ্রমিকদের অতিরিক্ত ৩ টাকা হারে মজুরির পরিবর্তে অতিরিক্ত চা পাতা উত্তোলনে কেজি প্রতি ৪ টাকা হারে বাড়তি মজুরি দেয়ার দাবি করা হয়। একই সাথে পাত্রখোলা চা বাগানের ১৮০০ শ্রমিক, কুরমা চা বাগানের ৮৫৭ জন, বাঘাছড়া চা বাগানের ৩৩২ জন ও কুরুঞ্জি চা বাগানের ২৩০ জন শ্রমিক বাগান অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন।
পরে চা বাগানের ব্যবস্থাপক আপাতত বাড়তি প্রতি কেজি চা পাতা উত্তোলনে ৩ টাকা ৯০ পয়সা করে প্রদান করার আশ্বাস প্রদান করলে দুপুর ১২টা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়।
চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি সম্পর্কে জানার চেষ্টায় দফায় দফায় ফোন করেও পাত্রখোলা চা বাগানের ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান ও কুরমা চা বাগানের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ফোন ধরেননি।
তবে পাত্রখোলা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি শিপন চক্রবর্তী ও কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী বলেন কর্মবিরতি চলাকালে চা বাগান ব্যবস্থাপকরা এখন থেকে অতিরিক্ত উত্তোলিত প্রতি কেজি চা পাতার জন্য আরও ৯০ পয়সা বৃদ্ধি করে ৩ টাকা ৯০ পয়সা প্রদানের সিদ্ধান্ত দেন। তাই দুপুর ১২টা থেকে চা শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির (অঞ্চলের) সাদারন সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা ৪টি চা বাগানের ৩২৮৯ জন চা শ্রমিকের কর্মবিরতি পালনের সত্যতা নিশ্চিত করেন।