মোঃ তামজীদুল হক ফাহিম, ইবি প্রতিনিধি:- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো জেল হত্যা দিবস। এ উপলক্ষ্যে শোক র্যালী, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও মোনাজাত করা হয়।
আজ (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনের চত্বর হতে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী’র নেতৃত্বে এক শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। শোক র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা ও রেজিস্ট্রার (ভারঃ) এস.এম আব্দুল লতিফ ছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, হল প্রভোস্টবৃন্দ, সভাপতিবৃন্দ, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা ও অফিস প্রধানসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ-পরিচালক মোঃ রাজিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রশাসন ভবনের সামনের চত্বরে শোক র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী উপস্থিত ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ এবং বিপক্ষ উভয় শক্তিকেই চিনতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরির কারিগর হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সোনার মানুষ হিসেবে তোমাদের গড়ে উঠতে হবে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধী শক্তি তাদের ঘৃণা করতে হবে। তিনি জাতীয় চার নেতার পূণ্যস্মৃতির উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, পাকিস্তান ভাঙ্গার প্রতিশোধ নিতে, দেশকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের আবর্তে নিক্ষেপ করতে এবং একটি মিনি পাকিস্তান সৃষ্টির লক্ষ্যে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতাকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়।
অপর বিশেষ অতিথি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, আমাদেরকে একাত্তরের পরাজিত ঘাতক চক্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।