বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের দলের সঙ্গে তার বাবার পছন্দের দুই আইনজীবীও থাকবেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানের বাসায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহর সঙ্গে ১৫ মিনিটের বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, “আদালতে যে বিচারকাজ শুরু হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উনারা আগেই জানতেন, আমি জানিয়েছি- একটা প্রসিকিউসন টিম গঠন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কয়েকজন আইনজীবীর নাম সে তালিকায় রাখার অনুরোধ করেছেন। যে নাম দিয়েছিলেন, সে তালিকায় পছন্দমত দুই জন আইনজীবী থাকবেন। “যে গতিতে বিচার কাজ এগোচ্ছে, তাতে সন্তুষ্ট উনারা। আইনানুগভাবে, কোনো ভুল ত্রটি ছাড়া, কোনো আইনের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে বিচারটা যতটুকু তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন করা হয়। যেন দ্রুত ট্রাইব্যুনালে যেন বিচার হয়।”
আবরারের বাবার পক্ষ থেকে সাক্ষাতের জন্য মঙ্গলবার সময় চাওয়া হলে বৃহস্পতিবার সময় দেন আইনমন্ত্রী।
আবরার বাবা বলেন, “আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্রুত ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। আমরাও চাই বিচারটা দ্রুত হোক। কিছু আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে।” এসময় আবরারের মামা ও মামাত ভাই উপস্থিত ছিলেন।
বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে গত ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ওইদিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যে কোনো মামলা ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৪৫ দিন সময় নিতে পারে আদালত। এখন বিচার শুরুর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আবেদন আসতে হবে। দ্রুত এই বিচার শুরুর আশাপ্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও।
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন আবরারের বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে।